বরগুনা: প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনা জেলা প্রশাসনের ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মতবিনিময় সভায় ছয়টি উপজেলার ছয়টি গ্রুপ পৃথক পৃথকভাবে অনাবাদি ও পতিত জমি থাকার কারণ চিহ্নিত করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ী, বরগুনার সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমান। উপস্থাপনায় ছিলেন কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্লুইস গেট, খাল খনন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিলেই চাষের আওতায় আসবে এসব জমি।
বরগুনার ডিসি হাবিবুর রহমান বলেন, আবাদযোগ্য জমি চাষের আওতায় আনতে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। বিদ্যমান আইন সম্পর্কে জানলে জমির মালিকরা তাদের জায়গা পতিত করে রাখবেন না। জমি অনাবাদি ফেলে রাখলে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। সংকট নিরসনে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বদরুল আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মজিবুর রহমান, বরগুনা পৌরসভার মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, পাথরঘাটা পৌর মেয়র, আনোয়ার হোসেন আঁকনসহ ছয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি বিভাগীয় কর্মকর্তারা, গণমাধ্যম প্রতিনিধি, শিক্ষক প্রতিনিধিসহ শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
সভায় সরকারি আবাসন এবং দপ্তরে কী পরিমাণ অনাবাদি জমি রয়েছে তা নির্ধারণ করার বিষয় কৃষি বিভাগকে অনুরোধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
এসআরএস