ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বংশাল হত্যাকাণ্ডে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
বংশাল হত্যাকাণ্ডে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীর বংশাল মহৎটুলীর চাঁন মসজিদ গলি থেকে পাওয়া মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম জাবেদ হোসেন জনি (৩৮)।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি সনাক্ত করেছেন তার ভাই আজিজুল হক পলাশ। পুলিশের ধারণা ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

পলাশ বলেন, একজনের মাধ্যমে জানতে পারি চাঁন মসজিদ গলিতে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে ভাই জনির মরদেহ দেখতে পাই।

তিনি জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়িতে। বর্তমানে মহৎটুলি চাঁন মসজিদ গলিতে থাকতেন। তার ভাই জনির কসাইটুলিতে জর্দার করখানা আছে। স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে মহৎটুলির একটি বাসার সাত তলায় মরগেজ নিয়ে থাকতেন।

পলাশ অভিযোগ করেন, বাসার পাশে ফুফাতো বোন জামাই হাজী ইব্রাহিমের বাসা। পারিবারিক ও জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ইব্রাহিমের সাথে বিরোধ ছিল। সকাল ৭টার দিকে জনি ও ইব্রাহিমের সঙ্গে ঝগড়া লাগে। কিছুক্ষণ পর বাসায় পুলিশ আসে। ভয়ে জনি সাত তলার ছাদ দিয়ে অন্য বাসায় চলে যায়।  

পলাশ  আরও বলেন, পুলিশ চলে যাওয়ার পর জনি বাসায় আসে। পরে যে যার কাজে চলে যাই। পরে দুপুরের দিকে জনির স্ত্রীর ফোনে জানান চাঁন মসজিদ গলিতে একটি মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ সনাক্ত করি।

হাজী ইব্রাহীম জনিকে হত্যা করেছে অভিযোগ করে পলাশ বলেন, হাজী ইব্রাহীম আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তাকে ধরলে সবকিছু বের হয়ে আসবে।

এরআগে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালের দিকে সংবাদের মাধ্যমে বংশাল থানা পুলিশ মহৎটুলি চাঁন মসজিদে এলাকার একটি সরু গলি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ পায়।

আরও পড়ুন: বংশালে গলিতে মিলল মরদেহ

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
এজেডএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।