ফেনী: ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুরে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান ’বীরের গল্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে স্থানীয় সুলতান ভিলায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদার।
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালেব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাক্তার আলা উদ্দিন, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আবু তাহের, মহামায়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হুদা মজুমদার, পরশুরামের মুক্তিযোদ্ধা শাহরিয়ার হোসেন, রাধানগর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
নাট্য ব্যক্তিত্ব সেলিম আক্তার পিয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম মহিউদ্দিন বুলবুল, পরিচালক রবিউল হোসেন বাবু।
অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা জানান, 'সুলতান ভিলা' মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত একটি বাড়ি। প্রয়াত সুলতান আহাম্মেদ মজুমদারের নামানুসারে বাড়িটির নামকরণ হয়েছে। সুলতান আহাম্মেদ মজুমদার পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান মজুমদারের বাবা। সুলতান আহাম্মেদ মজুমদার ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। তিনি ছিলেন তৎকালীন ছাগলনাইয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে এ পরিবার ত্যাগের এক অনন্য উদাহরণ। ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর যশপুরের এই বাড়িটি ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ক্যাম্প।
এখানে ৩৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ২৯টি বাংকারে অবস্থান নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর মোকাবিলা করেছিলেন। সুলতান আহাম্মেদ মজুমদার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজের গোলাভরা ধান ও অর্থ সম্পদ উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। মিজানুর রহমান মজুমদারের জেঠা শফিকুর রহমান মজুমদার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক। সুলতান আহাম্মেদ মজুমদারের সন্তান আবুল কালাম আজাদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এ বাড়ির পাশে পাক হানাদারদের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন এ বাড়ির সন্তান আবদুর রশিদ মজুমদার। বাড়ির পাশেই রয়েছে তার সমাধি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসএইচডি/জেএইচ