ঢাকা: সৌদি আরবের রিয়াদে ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদশের চলচ্চিত্র ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ প্রদর্শিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীতে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির অভিবাসীরা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন, তার ত্যাগ, দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা উপস্থিত দর্শকদের হৃদয় নাড়িয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা, জাতির পিতার কথা শুনতে পেরে দর্শক অভিভূত হন। চলচ্চিত্রটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যদের নিহত হওয়ার সময়ের বর্ণনা শুনে অনেকের চোখ ভিজে যায়।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের জন্ম, ইতিহাস, দেশের প্রতি জাতির পিতার অসামান্য অবদান, তাঁর ত্যাগ, ভালোবাসা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ের বিবরণ উঠে এসেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের প্রতি অবদান, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তার স্বপ্ন পূরণের প্রচেষ্টা, ১৯৭৫ সালের কালো রাতের খুনিদের বিচারের সম্মুখীন করার যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা সব কিছুই দেখতে পেয়েছি। বিদেশি ও প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কাছে এ চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি জানান।
চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনীর শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। তিনি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক ভারতীয় দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। গত ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এ উৎসবে বিভিন্ন দেশের ১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের কিছু ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের ধারণা ছিল কিন্তু এ চলচ্চিত্রটি দেখার পর অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পেরেছি। বিদেশিরা অনেকেই বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে পরে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন রিয়াদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, স্কুলশিক্ষক, সাহিত্যিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এতে যোগ দেন।
উপস্থিত দর্শকরা এ চলচ্চিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়ে দূতাবাসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন, এ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার কাছ থেকে জাতির পিতা সম্পর্কে যে বর্ণনা শুনতে পেয়েছি, যে অভিজ্ঞতা জানতে পেরেছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক কাহিনী, আবহ সঙ্গীত ও চিত্রায়ন দর্শকের হৃদয় ছুয়ে গেছে। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অসামান্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে বলে তারা মতপ্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
টিআর/আরআইএস