লক্ষ্মীপুর: সন্তানরা দুষ্টুমি করেছিলেন। তাদের দুষ্টুমি থামাতে গিয়ে খেলার ছলে গলায় ওড়না পেঁচায় তাদের মা।
রোরবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের হানিফ মিয়ার চতুর্থ তলার একটি ফ্লাটে এ ঘটনা ঘটে। ওই ফ্লাটের ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি। স্বামী ব্যাংক কর্মচারী নাছির উদ্দিন এবং তিন সন্তানসহ তিনি সেখানেই থাকতেন।
রেহানার বড় মেয়ে ৮ বছর বয়সী জান্নাতুন নাঈম সাংবাদিকদের কাছে তার মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি এভাবেই বর্ণনা করেন।
নিহত রেহানা নোয়াখালীর সেনবাগ থানার অর্জুনতলা গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের মেয়ে। তার স্বামী নাছির উদ্দিনের বাড়ি ফেনী জেলার পশুরামপুর থানায়। লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত নাছির উদ্দিন। ঘটনার সময় নাছির ব্যাংকেই ছিলেন।
জান্নাতুল নাঈম ছাড়াও তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সী ছেলে ওসমান গণি ও এক বছর বয়সী মেয়ে ফাতেমা আক্তার তাবাচ্ছুম রয়েছে। মাকে হারিয়ে এখন নির্বাক শিশুরা।
রেহানার মেয়ে জান্নাতুন নাঈম জানান, তার মা রেহানা বেগম তাদের সঙ্গে দুষ্টুমির ছলে গলায় ওড়না পেচায়। এ সময় তা মা তাদের উদ্দেশে বলেন, "তোমরা দুষ্টুমি করলে মা মরে যাবো। " এই বলে তিনি খাটের সাঙ্গে জানালার সাথে ওড়না পেচালে পা পিছলে খাট থেকে পড়ে যান। মায়ের মুখে রক্ত দেখে সে তার বাবাকে ফোন করে জানায়। পরে তার বাবা নাছির উদ্দিন ব্যাংক থেকে বাসায় এসে দেখে রেহানা গলায় ফাঁস লেগে ঝুলে আছে।
রেহানার স্বামী নাছির উদ্দিন জানান, মেয়ের ফোন পেয়ে তিনি ব্যাংক থেকে দ্রুত বাসায় এসে দেখেন রেহানা ঝুলে আছে। পরে তাকে খাটে নামিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকে ডাকেন। চিকিৎসক এসে রেহানাকে মৃত ঘোষণা করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দুষ্টুমির চলে হোক বা আত্মহত্যার জন্যে হোক, ওই নারী নিজেই ফাঁস দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এসএম