ফরিদপুর: নানা প্রলোভনে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ছারা খাতুন (৫৫) নামে এক অসহায় বৃদ্ধার বসতভিটা থেকে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ভিটায় থাকা বেশ কিছু গাছ টাকা দেওয়ার কথা বলে কেটে নেয় প্রতিপক্ষ।
ভুক্তভুগী ওই বৃদ্ধার বাড়ি উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়িয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের সমসের শেখের স্ত্রী। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই বৃদ্ধা ও তার পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ফুলবাড়িয়া এলাকার ইউপি সদস্য লূহ কাজী, লূহ কাজীর ভাই আজম কাজী, আজম কাজীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার কাজী, মিরাজ মাতুব্বর ও তার ছেলে টিটুসহ আরও কয়েকজন ওই মহিলাকে নানা প্রলোভনে দেখিয়ে বাড়ির পাশে থাকা তার ভিটা থেকে মাটি কিনেন এবং সাথে টাকা দেওয়ার কথা বলে ভিটায় থাকা বেশ কিছু গাছও কেটে নেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে গাছ বিক্রির টাকা চাইলে সারা বেগমকে মারধর করে আহত করে। সারা বেগম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে পরদিন শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্তে গেলে মহিলার ওপর আবার চড়াও হয় প্রতিপক্ষ। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে পুনরায় আবার ভয়ভীতি দেখায় ওই বৃদ্ধাকে।
বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই বৃদ্ধা মহিলা ও তার পরিবার।
এলাকাবাসী জানান, ওই বৃদ্ধা মহিলার স্বামী হাবাগোবা ও সে নিজে সহজ সরল হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে তাকে হয়রানি করে আসছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলার সাহস পায় না।
এদিকে, মরধরের বিচার ও গাছ বিক্রির টাকা দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ওই মহিলা।
এই বিষয়ে ওই ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার লূহ কাজী বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সারা নামের ওই বৃদ্ধা মহিলা আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছি সন্ধ্যায় আমি শুনে মিলমিশ করিয়ে দেব। ওই মহিলা পাগল, তার ছেলে একজন বিদেশ থাকে আরেকজন বাড়িতে আছে তার কথা শুনে তারপর লেখেন।
এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এসএম