মেহেরপুর: ঢাকার মিরপুরের একটি আবাসিক হোটেলে গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামের যুবক সৌরভ হোসেনের মৃত্যুকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। তার পরিবারের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
গাংনী থানা পুলিশ ঢাকার সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর ) বামন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কনক বিশ্বাস, বামন্দী গ্রামের মৃত গোলাম কাওছার বুলুর ছেলে বামন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কনক বিশ্বাস, চর গোয়ালগ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা ইলিয়াছ হোসেন ও ছাতিয়ান গ্রামের মৃত ময়নাল হকের ছেলে সৌরভ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে বান্দরবান ও সাজেক ভ্যালিতে বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা হয়।
সাজেক ভ্যালি বেড়ানো শেষে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তারা ঢাকায় ফিরে আসে। ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে তারা। কিছুক্ষণ পর আবারও ঘুরতে বের হয়।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, কনক বিশ্বাস মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং সৌরভ হোসেন পেছনে বসে ছিল। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা উত্তরার বলাকা নামক স্থানে পৌঁছালে সৌরভ হোসেন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। আহতাবস্থায় তাকে মাইক্রোবাসে করে আবাসিক হোটেলে নেওয়া হয়। ঘণ্টা দেড়েক পর সৌরভের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সৌরভকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে সৌরভের মা বলেছেন, মৃত্যুর আগে সৌরভ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, মা ওরা আমাকে কী যেন খাওয়াইছে। আমার বুকের মধ্যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। আমি মনে হয় আর বাঁচব না। এর পরে সৌরভের মৃত্যুর খবর আসে।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সৌরভের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থল ঢাকাতে হওয়ায় সেখানে বিষয়টি জানানোর জন্য পরিবারকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
জেএইচ