নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলা থেকে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোর চক্রের মূলহোতা রাজন আলীসহ (৩৪) পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৫)। এছাড়াও মোবাইলের আইএমই নম্বর পরিবর্তনকারী একজনকে আটক করা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে র্যাবের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ও বুধবার (ডিসেম্বর) দুই দিনব্যাপী গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে জেলার সিংড়া থানাধীন খাগরবাড়িয়া, সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এবং বামিহাল বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মো. ফরহাদ হোসেন এবং কোম্পানি উপ-অধিনায়ক ও সহকারী পুলিশ সুপার, মো. রফিকুল ইসলাম।
আটকরা হলেন-উপজেলার খাগরবাড়িয়া গ্রামের মৃত তারা খাঁর ছেলে মো. রাজন আলী ওরফে রাজন খাঁ (৩৪), মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মালেক (৩৬), দক্ষিণ দমদমার মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. বিল্পব হোসেন (২৭), চওড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে মো. সেলিম হোসেন (২০), কয়াখাস গ্রামের আব্দুল সোবহানের ছেলে মো. আব্দুল রশিদ (২৪) ও বামিহাল বাজারপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. রাসেল (২৬)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটকরা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ও পরিকল্পনায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে এবং চোরাইকৃত মোবাইলের আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে আসছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি অপারেশন দল অভিযান চালিয়ে সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৩ টি মোবাইল, ১০টি সিমকার্ড, একটি মোটরসাইকেল, দুইটি সিপিইউ, ১০টি হার্ডডিস্ক, দুইটি মনিটর, ছয়টি কম্পিউটার ক্যাবল ও নগদ ১২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় সিংড়া থানায় পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৭৯/৪১১/৩৪ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ১৮/১৯/২০ ধারা এবং “পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন” ২০১২ এর ৮(৩)/৮(৫) (ক)/৮(৫)(খ)/৮(৫)(গ) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
আরএ