ঢাকা: নিজস্ব সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ভাড়া করা গোডাউনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০টি গোডাউনের পেছনেই ব্যয় হচ্ছে সাড়ে চার কোটি টাকা।
ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইভিএম প্রকল্পটি নেওয়ার সময় এই মেশিন রাখার ব্যবস্থার কথা ভাবেনি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে তড়িঘড়ি করে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৮০ হাজার মেশিন ও পরে ৭০ হাজার মেশিন ক্রয় করে ওই কমিশন। এরপর বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হলে দীর্ঘদিন ভোটকেন্দ্রেই রাখা হয়। কিছু মেশিন উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ও বিভিন্ন গোডাউনে রাখা হয়। সে সময় কেনা দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ৯৩ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় আছে।
জানা গেছে, মাঠ পর্যায়ে নিজস্ব সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ৩০ জেলায় গোডাউন ভাড়া করেছে ইসি। আর এতে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে চার কোটি টাকা। তবে ইভিএমের জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্প নিচ্ছে সংস্থাটি। পরিকল্পনা কমিশন থেকে অনুমোদন হলে এর আওতায় মাঠ পর্যায়ে গোডাউন তৈরি করা হবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না।
গোডাউন ভাড়ার বিষয়টি সম্প্রতি ইসির মাসিক সমন্বয় সভাতেও আলোচনা হয়। এতে গোডাউন ভাড়ার অর্থ যোগানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসে।
ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইভিএম সংরক্ষণের জন্য বাড়ি/গোডাউন ভাড়ার লক্ষ্যে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩০টি সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিস/জেলা নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে ৩০টি বাড়ি/গোডাউন ভাড়ার চুক্তি সম্পাদন করা হয়। অবশিষ্ট ৩৪ জেলাতেও ইভিএম সংরক্ষণের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বাড়ি/গোডাউন ভাড়া করা হবে।
৩০টি বাড়ি/গোডাউন ভাড়া বাবদ চার কোটি ৫৩ লাখ ৯৩ হাজার ১২২ টাকা ৬৯ পয়সা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্তিতে সমস্যা হলে অন্য খাত থেকে উপযোজন বা সমন্বয় করা হবে। সেই সঙ্গে অবশিষ্ট ৩৪ জেলায় ইভিএম সংরক্ষণের জন্য বাড়ি/গোডাউন ভাড়ার চুক্তি করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক/জেলা নির্বাচন অফিসাররা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় ইসি। এজন্য নতুন করে আরও দুই লাখ মেশিন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। নতুন প্রকল্পের অধীনে নিজস্ব গোডাউন না হওয়া পর্যন্ত ভাড়া করা গোডাউনেই থাকছে এই ভোটযন্ত্রগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ/এনএস