ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধের ঘটনায় বাবা জাহিদের মৃত্যুর ১৫ দিন পর চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেল মেয়ে লাবনী আক্তার জাহিদা (১১)। বাসার চুলার আগুন থেকে তারা দগ্ধ হয়েছিলেন।
রোববার (১ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি জানান, লাবনীর শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে উপজেলার ডহরগা এলাকায় একটি পাঁচ তলা বাসার নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ওইদিনই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন ২৫ ডিসেম্বর রাতে মারা যান জাহিদ। দগ্ধ অন্যরা হলেন, জাহিদের স্ত্রী রুমা বেগম (২৭) ও ছেলে ইয়াসিন (৮)।
জানা যায়, পাঁচ তলা বাড়িটির নিচ তলাতে ভাড়া থাকেন তারা। রুমা বেগম গৃহিণী আর তার স্বামী জাহিদ একটি কারখানায় চাকুরি করেন। ওইদিন সকাল ৬টায় রুমা বেগম রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে দিয়াশলাই জ্বালাতেই চুলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে রুমে থাকা ফ্রিজ ও টেলিভিশনে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। তখন তার শরীরে আগুন ধরে যায়। এছাড়া রুমে ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরও ঝলসে যায়। তখন দৌড়ে সবাই বাসার বাইরে বের হন।
চিকিৎসকরা জানান, রুমার শরীরের ২৩ শতাংশ ও ইয়াসিনের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২২
এজেডএস/এনএস