ঢাকা: নতুন বছর নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন বছর দেশবাসীর জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে।
রোববার (০১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
সবাইকে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক। সকল সংকট দূরীভূত হোক। সকল সংকীর্ণতা পরাভূত হোক ও সকলের জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি- এই প্রার্থনা করি। ’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বছর মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে ও নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগায়। ’
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের কল্যাণ হয়। একমাত্র আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার সুমহান আদর্শকে ধারণ করে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। আসুন, আমরা দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। একইসঙ্গে ধর্মীয় উগ্রবাদসহ সন্ত্রাসবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি। ’
২০২২ সালকে বাঙালি জাতির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ‘মাইলফলক’ ও বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের ‘স্বর্ণযুগ’ মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছি। ’
তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি। ১৯ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করেছি। ২১ মার্চ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (প্রথমপর্যায়) উদ্বোধন করেছি। আমাদের অন্যান্য মেগা ও মাঝারিসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করে। আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচন হতে পরপর তিন দফা জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে গত ১৪ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছি। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০' বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
এমইউএম/এমএইচএস