ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিটিসিএল কর্মচারীদের এককালীল পেনশন দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
বিটিসিএল কর্মচারীদের এককালীল পেনশন দাবি

ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ১২তম গ্রেডের নিয়োগপ্রাপ্ত বেশির ভাগ কর্মচারী বিনা পেনশনে অবসরে যান। ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিটিসিএলের কর্মচারীদের  এককালীন পেনশনসহ (আনুতোষিক) সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

তবে এসব নির্দেশনার কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।

তাই বাংলাদেশ টিএন্ডটি শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেল ইউনিয়ন (সিবিএ-বি-১৮২০) কর্তৃক শিল্প বিরোধে উত্থাপিত ৩০০ মাসের আনুতোষিকসহ ৫ দফা দাবি করেছে বিটিসিএল স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি। দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বিটিসিএলের ১২তম গ্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী ও সাবেক কর্মচারীদের ‘চাকুরি বিধিমালা-২০১১’ অনুযায়ী সকল সুবিধা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করে বিটিসিএল স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিসিএল স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিটিসিএল একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। সে সময় (১৯৮২ সালে) কর্মচারীরা দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করতেন। তবে ২০০৬ সালে তৎকালীন সরকার বিটিসিএল কর্মচারীদের পেনশনসহ চাকরির সকল সুযোগ বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালে এক অধ্যাদেশ জারি করে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়। এর মাধ্যমে আমরা সরকারি সকল আনুষঙ্গিক  সুযোগ সুবিধা পাব এমন নির্দেশ দেওয়া আছে।

তিনি বলেন, চাকরি শেষে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে বেশির ভাগ কর্মচারী দীর্ঘ সময় কাজ করেও বিনা পেনশনে অবসরে যান। ফলে তারা একপ্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ কারণে আমাদের ৩০০ মাসের আনুতোষিকসহ ৫ দফা দাবি জানাচ্ছি। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে ইস্কাটন গার্ডেনে বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিটিসিএলের স্থায়ী কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো:
১. বিটিসিএল-এ যোগদানকৃত অবসরপ্রাপ্ত এবং মৃত্যুবরণকারী স্থায়ী কর্মচারীদের নিয়োগপত্রে শর্তে উল্লেখিত কার্যকর চাকরিকাল ০১/০৭/২০০৮ থেকে গণনা পূর্বক আনুতোষিক অবিলম্বে দিতে হবে।

২। মামলা প্রত্যাহারকারী, মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াধীন ও মামলা বিহীন ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীদের দ্রুত শূন্য পদে আত্মীকরণ করতে হবে।

৩। অর্জিত ছুটি, অর্ধবেতনে ছুটি নগদায়ন, কল্যাণ তহবিল ও যৌথবিমা অবিলম্বে চালু করতে হবে।

৪। বিটিসিএল বর্তমান অর্গানোগ্রামের ১১ ও ১০তম গ্রেডের পদ ও পদবী সমূহ অক্ষুন্ন রেখে শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দিতে হবে।

৫। বিটিসিএলে চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিটিসিএল কল্যাণ তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিসিএল স্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট  রফিকুল ইসলাম রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, পূর্বাঞ্চলের সভাপতি কামাল হোসেন, ঢাকা ডিটিয়ার দক্ষিণ আঞ্চলিক সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।