ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মেঘনায় ঘন কুয়াশায় লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
মেঘনায় ঘন কুয়াশায় লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

চাঁদপুর: পৌষ মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। শীতের তীব্রতার পাশাপাশি ঘন কুয়াশাও বেড়েছে।

গত কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-চাঁদপুরগামী লঞ্চ চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।  

দক্ষিণাঞ্চলসহ এই রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশনা মোতাবেক ঘন কুয়াশায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার কথা থাকলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে লঞ্চের নির্ধারিত সময় ধরে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। লঞ্চের মাস্টাররা জানিয়েছেন ঘন কুয়াশার চাইতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে বেশি বিঘ্ন সৃষ্টি হয় বালুবাহী নৌযানে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে সদরঘাটের উদ্দেশে নির্ধারিত সময়ে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।

সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি ঈগল-৭। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। এই লঞ্চের টিকিট মাস্টার ইসমাইল হোসেন জানান, ঘন কুয়াশায় লঞ্চ নির্ধারিত সময় পৌঁছাতে পারে না। কুয়াশা বেশি থাকলে অপেক্ষা করতে হয়। গত দুইদিন হলো কুয়াশার ঘনত্ব অনেক বেড়েছে।

সদরের বাগাদী থেকে আসা ঈগল লঞ্চের যাত্রী শোহরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কাজের কারণে রাজধানীতে যেতে হচ্ছে। লঞ্চ ছাড়া অন্য বাহন আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেও লঞ্চে যাওয়ার জন্য চলে এসেছি।

এমভি জমজম-৭ এর মাস্টার সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশা থাকলেও আমরা সতর্ক থাকি। জাহাজে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। সেগুলো ব্যবহার করে চলাচল করতে হয়। তবে রাতের বেলায় মেঘনায় বালুবাহী বাল্কহেডগুলো খুবই সমস্যা করে। এগুলো রাতের বেলায় চলাচল বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এমভি আব-এ-জমজম-১ এর মাস্টার মো. শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশায় শুধুমাত্র যাত্রীবাহী লঞ্চই নয়, সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা কথা। যাত্রীদের অনুরোধে চালাতে হচ্ছে। অনেক যাত্রী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যায় এবং বিদেশগামী যাত্রীও থাকে। যে কারণে তাদের অনুরোধ রাখতে লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে। তবে কুয়াশার মধ্যে সবচাইতে বেশি সমস্যা করে বালুবাহী নৌযানগুলো। তাদের জন্য জাহাজ চালানো খুবই কষ্টকর এবং ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়।

চাঁদপুর ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি মো. বিপ্লব সরকার বাংলানিউজকে বলেন, মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। এই রুটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল করার কথা থাকলেও তারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম মানছেন না। বাল্কহেডগুলোর সঙ্গে এ পর্যন্ত অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে ঘন কুয়াশার মধ্যে খুবই সতর্ক থেকে লঞ্চগুলো চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিনি ৫০টি লঞ্চ আসা-যাওয়া করে। ঘন কুয়াশার কারণে লঞ্চ চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় আমরা লঞ্চগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখি। যখন আকাশ পরিষ্কার হয় তখন ছেড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। আর রাতের বেলায় বালুবাহী বাল্কডেহ চলালচ নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে চিঠি দিয়েছি। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।