ঢাকা, রবিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিপজ্জনক ‘ডিডিটি’ মুক্ত হলো বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
বিপজ্জনক ‘ডিডিটি’ মুক্ত হলো বাংলাদেশ কথা বলছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

ঢাকা: সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।  

রোববার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ ঘোষণা দেন।



পরিবেশমন্ত্রী জানান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সাফল্যজনকভাবে ৫শ টন ডিডিটি অপসারিত হওয়ায় সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা কর হলো। বিভিন্ন পর্যায়ে সবশেষ ২২ ডিসেম্বর সাতটি কনটেইনার রপ্তানি করার মধ্য দিয়ে ডিডিটি মুক্ত করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৫শ টন ডিডিটি পেস্টিসাইড আমদানি করেছিল। নিম্নমান বিবেচনায় আমদানিকৃত অব্যবহৃত ডিডিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মেডিকেল সাব-ডিপোতে মজুদ রাখা হয়। উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরবিশে, বন ও জলবায়ু পরর্বিতন মন্ত্রণালয় গ্লোবাল এনভাইরনমেন্ট ফেসিলিটির অর্থায়ন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গত ১০ ডিসেম্বর এ বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সে রপ্তানি করা সম্ভব হয়।  

মন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই রপ্তানির ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে। স্টকহোম কনভেনশন কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ডিডিটি রপ্তানির সঙ্গে বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূর্ণ হলো।  

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ডিডিটি একটি বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক পেস্টিসাইড। পণ্যটি দীর্ঘদিন ধরে মাটি ও পানিতে অপরিবর্তনীয় অবস্থায় থাকে। খাদ্য, পানি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ডিডিটি মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। এর ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো ক্যানসার ঝুঁকি, প্রজনন অক্ষমতা ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থায় পরিবর্তন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। শহরের কেন্দ্রস্থল আগ্রাবাদে অবস্থিত এমএসডি গুদামের চারপাশে আবাসিক/বাণিজ্যিক এলাকা, স্কুল, হাসপাতাল, সরকারি/বেসরকারি অফিস, পার্ক অবস্থিত।  

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২৩/আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।