ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ০২ মে ২০২৫, ০৪ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

কনকনে শীতে জবুথবু পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৪, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
কনকনে শীতে জবুথবু পঞ্চগড়, বিপর্যস্ত জনজীবন

পঞ্চগড়: হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি বাতাস আর ঘনকুযাশায় জেঁকে বসেছে শীত।

তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গভীর রাতে থেকে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ফোটার মতো হালকা ঝড়ে পড়া ঘনকুয়াশা শীতকে আরও কঠিন করে তুলেছে। তীব্র শীতে চরম বিপাকে পড়েছে পঞ্চগড়ের খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছেন তারা।

তবে বেলা বেড়ে সকাল সাড়ে ১০টা বাজলেও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা ওঠানামা করায় পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা।  

বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশা থাকায় জেলার বিভিন্ন রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

শহরের রিকশা চালক কালাম বাংলানিউজকে বলেন, এত বেশি শীত যে গরম কাপড় পরেও শীত মানছে না। হাত-পা বরফের মতো হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে।

আব্দুল গফুর নামে আরেকজন বলেন, ঘনকুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে যাত্রীরা বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। রিকসা নিয়ে বসে আছি। ভাড়াও নাই।  আয় ও কমে গেছে। পরিবার নিয়ে খুব কস্টে দিন কাটাচ্ছি।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার দেশের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও আজ বুধবার সকাল ৯ টায় তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে তাপমাত্রা বিরূপ থাকার পাশাপাশি জানুয়ারির শেষ সময়ের মধ্যে আরও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।