ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রিকশাচালকে হত্যা, যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
রিকশাচালকে হত্যা, যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালক মামুন হোসেনকে গুলি করে হত্যা মামলায় আনোয়ার উদ্দিনসহ (৪২) দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনোয়ারকে তিন দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে রিমান্ডে দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ও বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার আনোয়ার ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া ১২ কোয়ার্টারের বাসিন্দা মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে এবং এই ঘটনায় গ্রেফতার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিনের ভাই।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বাংলানিউজকে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ঈশ্বরদীর আরমবাড়িয়া এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। আর বৃহস্পতিবার ভোরে কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। পরে আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এ নিয়ে মামলায় অভিযুক্ত মোট চারজনকেই গ্রেফতার করা হলো। এর আগে গত শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন এবং তার ভাতিজা হৃদয় হোসেনকে আটক করে র‌্যাব।

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদীর রেল গেটের পাশে কাচারী পাড়ায় ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে আসা দ্রুততগামী ভটভটি ও লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এ সময় রিকশাচালক মামুনসহ স্থানীয়রা চালকদের বেপরোয়া গতিতে চলাচলে নিষেধ করেন। সেখানে লেগুনাচালক ভটভটির চালকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

বিষয়টি লেগুনার মালিক কামাল ও আনোয়ারকে জানালে তারা ক্ষুব্ধ হন এবং আনোয়ার হোসেন তার দলবল নিয়ে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আনোয়ার তার কোমরে থাকা পিস্তল বের করে সেখানে থাকা মামুন ও রকিকে গুলি করেন এবং সুমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ রকি ও ছুরিকাঘাতে আহত সুমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পরের দিন (৫ জানুয়ারি) রাতে নিহত মামুন হোসেনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন। মামলাটিতে কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তার ভাই আনোয়ার হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।