ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমরা এখন স্মার্ট ওয়াসা: তাকসিম এ খান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
আমরা এখন স্মার্ট ওয়াসা: তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান

ঢাকা: শতভাগ না হলেও ওয়াসা ৮০ ভাগ কম্পিউটারাইজড হয়েছে। আমাদের ম্যানুয়াল কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন স্মার্ট বাংলাদেশের। আমরা (ওয়াসা) খুব আনন্দিত, কারণ তার আগেই আমরা স্মার্ট ম্যানেজমেন্ট শুরু করেছি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলছি, ‘আমরা এখন স্মার্ট ওয়াসা’। যেটাকে আগে বলতাম ডিজিটাল ওয়াসা।

কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরানবাজার ওয়াসা ভবনে বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকার তিনি এসব কথা বলেন।

প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও এলজিইডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের গাইডেন্সে সঠিক পথে আছি। দোয়া করবেন আমরা যেন পথভ্রষ্ট না হয়ে যাই। আমরা সঠিক পথে থাকলে পানি ব্যবস্থাপনায় সত্যি পরিবর্তন হবে।

বাংলানিউজ: আপনি ঢাকাবাসীর জন্য পানি বন্ধু কিনা?

তাকসিম এ খান: পানি বন্ধু কিনা জানি না। তবে পানি শত্রু না। পানির সঠিক ব্যবস্থাপনা আমরা চেয়েছি।

বাংলানিউজ: সফলতা থাকলে অভিযোগ কেনো?

তাকসিম এ খান: বর্তমান সরকারের সফলতা কী সবাই চায়? বেশিরভাগ লোক চায়, কিন্তু সবাই চায় না। একটা সময় ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেত। অনেক মানুষ পানির জন্য হাহাকার করতো। তখন একটি অসাধু গোষ্ঠী খুশি ছিল। তারা অসাধু উপায়ে পানি বিক্রি করে টাকা উপার্জন করত।

এখন ১০০ ভাগ মানুষই পানি পাচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষ ও সরকার খুশি। মানুষ শতভাগ পানি পাওয়ার ওই অসাধু গোষ্ঠীর পকেটে টাকা যাচ্ছে না। তাদের অবৈধ আয় বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা যারা ওয়াসা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার দ্বারা নিয়োজিত, তারা কি আমাদের ভালো চোখে দেখবে? তারা চেষ্টা করবে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার। যাতে করে আগের মতো ৩০-৪০ ভাগ পানি গায়েব করতে পারে।

ওই অসাধু গোষ্ঠী ভুয়া, মিথ্যা ষড়যন্ত্র করছে। ১৩ বছর ধরে বলে আসছে- অমুক প্রজেক্ট, তমুক প্রোজেক্টের দুর্নীতি হয়েছে। দুদক অভিযোগগুলো নিয়েছে, তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত একটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তার মানে দুর্নীতি হয়নি। আর যা ছোটখাটো দুর্নীতি হয়েছে তার ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।

ওয়াসা জিরো টলারেন্স করাপশন নীতিতে চলছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে, সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওয়াসায় অবৈধ আয়ের পথ বন্ধ করেছি।

বাংলানিউজ: সাম্প্রতিক সময় আপনার বিরুদ্ধে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা?

তাকসিম এ খান: যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ করছি। আমাদের মন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা সঠিক সেটাই করব।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এমএমআই/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।