ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সপ্তম জাতীয় হাঁটা দিবস উদযাপন ওয়াকিং ক্লাবের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
সপ্তম জাতীয় হাঁটা দিবস উদযাপন ওয়াকিং ক্লাবের

ঢাকা: ‌‘সুস্থ রাখতে দেহযন্ত্র, হাঁটাই হোক মূলমন্ত্র’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় হাঁটা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ ওয়াকিং ক্লাব।  

হাঁটা দিবস উপলক্ষে তাদের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাই, যানবাহনের ওপর চাপ কমাই’।

শনিবার (১৪ জানুযারি) সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত পায়ে হাঁটার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় তাদের কর্মসূচি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বক্তারা বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের জীবন মানের সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে অর্থনীতির৷ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী মানুষরা জীবনকে সহজ করেতে গাড়ি-বাড়ি করছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এতে মানুষের মাঝে হাঁটার প্রবণতা দিন দিন কমছে।

তারা আরও বলেন, হাঁটার পরিবর্তে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ। এতে একদিকে যেমন অসুস্থ শরীর নিয়ে জীবনযাপনের পাশাপাশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটছে, অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যয়ের কারণে হচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি। তাই সুস্থ থাকতে সবার উচিত স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়াত করা।

বক্তারা আরো বলেন, শারীরিক সক্ষমতার কারণে সব বয়সী মানুষের পক্ষে দৌড়ানো সম্ভব হয় না। কিন্তু ছোট থেকে বৃদ্ধ সবাই চাইলে হাঁটতে পারেন। তাই মানুষ যদি যানবাহনের ওপর নির্ভর না করে স্বল্প দূরত্বে হেঁটে যাতায়ত করেন, তাহলে নিজের শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি পরিবেশের দূষণও কমে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা সঞ্চয়ও হয়৷

এ সময় তারা মানুষের স্বাভাবিকভাবে হাঁটার জন্য ফুটপাত দখলমুক্ত করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ওয়াকিং ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নোমান মোহাম্মদ আতাহার আলী, সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন তপাদার, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক প্রমুখ।

মানুষের মধ্যে হাঁটার উপকারিতা এবং হাঁটা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করতে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে বাংলাদেশ ওয়াকিং ক্লাব। সেলক্ষ্যে ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবার জাতীয় হাঁটা দিবস পালন করে আসছে তারা। হাঁটাহাঁটি ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ হিসেবে প্রতিবছর পথশিশুদের মাঝে শীত বস্ত্র ও ঈদের পোশাক বিতরণ, বিভিন্ন দুর্যোগের সময় দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণে কাজ করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।