ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় ১৪ দিনে চার হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
মাগুরায় ১৪ দিনে চার হত্যা ছবি: প্রতীকী

মাগুরা: মাগুরায় চলতি জানুয়ারি মাসে ১৪ দিনের মধ্যে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হলেন- মাসুদুর রহমান শেখ (৩৫), মোশারাফ মৃধা (৫০), নজরুল মোল্ল্যা (৬০) এবং জনাব আলী (৪৭)।

জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৃধাপাড়া এলাকায় পাকা  রাস্তার পাশ থেকে মোশারাফ মৃধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি খুনের মামলার আসামি ছিলেন। মোশারফ বালিদিয়া মৃধাপাড়া এলাকার মৃত নুরুল মৃধার ছেলে।

গত ৭ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুর উপজেলার গয়েসপুর ইউনিয়নের কুশা ইছাপুর গ্রামে মাসুদুর রহমান শেখ নিহত হন। ঘটনাটি গত তিনি ওই গ্রামের আছেদ আলীর ছেলে।

অন্যদিকে ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের যশোবন্তপুর গ্রামে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে নজরুল মোল্ল্যা গুরুতর আহত হন। এরপর গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। তিনি ওই গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্ল্যার ছেলে।

জানা গেছে, জমির সীমানার আইল কাটাকে কেন্দ্র করে নজরুলের ভাই জাফর মোল্ল্যার সঙ্গে আরেক চাচাতো ভাই হাশেম মোল্ল্যা ও রাশেদ মোল্ল্যা বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে খোরশেদ মোল্ল্যা ও নাজমুল মোল্ল্যাসহ বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে জাফর মোল্লার বাড়িতে হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আঘাত পান।

ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি মারা যান।

এদিকে মাগুরা সদর উপজেলা পাকাকাঞ্চনপুর গ্রামে ইজিবাইচালক জনাব আলীকে  পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পাকাকাঞ্চনপুর মসজিদের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জনাব আলী পাকাকাঞ্চনপুর গ্রামের গোলাম আকবর বিশ্বাসের ছেলে। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে তর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনে জেলায় যেসব খুনের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে তিনটি ছিল ব্যক্তি কেন্দ্রীক ও একটি সামাজিক মত বিরোধ। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে চার উপজেলায় নিয়মিত কমিউনিটি পুলিশংশের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা বেশি ঘটে সেই এলাকার সামাজিক মাতব্বরদের নিয়ে আলোচনার মধ্যে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি বিট পুলিশিংও চালু রয়েছে। সম্প্রতি যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তাতে জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশ সামাজিক বিরোধ, মাদক, সন্ত্রাস, সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধসহ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।