ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ট্র্যান্সজেন্ডারদের আইসিটিতে দক্ষ করতে চুক্তি সই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
ট্র্যান্সজেন্ডারদের আইসিটিতে দক্ষ করতে চুক্তি সই

ঢাকা: দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।  

এরই আলোকে অভিজ্ঞ এনজিও প্রতিষ্ঠান বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সঙ্গে বিসিসি থেকে ট্র্যান্সজেন্ডারদের কল্যাণে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র সভা কক্ষে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সমাজে বৈষম্য রোধ করতে দেশের নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে আসা প্রয়োজন। ট্রান্সজেন্ডার বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২- এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার মানুষ সমাজের অর্থাৎ দেশের একটি অংশ। তাই তাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি ট্রান্সজেন্ডার-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি ও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজের ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ।  

ট্র্যান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা উন্নয়নের এবং বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানরা একমত পোষণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রণজিৎ কুমার একটি দেশ ও সমাজের জন্য ট্রান্সজেন্ডারদের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বির্নিমাণের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দিকে বিসিসি কর্তৃক গৃহীত এ কার্যক্রমটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিসির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) আবু সাঈদ, বিসিসির সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।