ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিআরটিএর লাইসেন্সসহ ৬ দফা দাবি ব্যাটারিচালিত যানবাহন চালকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
বিআরটিএর লাইসেন্সসহ ৬ দফা দাবি ব্যাটারিচালিত যানবাহন চালকদের

বরিশাল: ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত ‘থ্রি হুইলার নীতিমালা ২০২১’ অনুযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক সরকার অনুমোদিত বৈধ লাইসেন্স প্রদানের দাবিসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট’। দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে সংগঠন দুটি বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বরিশাল নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলার সংগঠন শাহিন শরীফ।

এসময় তিনি বলেন, আমরা ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত বরিশালে অবস্থানরত ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশার চালকবৃন্দ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বরিশালসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি।

আমাদের দাবিগুলো হলো- ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত ‘থ্রি হুইলার নীতিমালা ২০২১’ অনুযায়ী বিআরটিএ কর্তৃক সরকার অনুমোদিত বৈধ লাইসেন্স দেওয়া, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য ট্রাফিক মামলার জরিমানা অনধিক ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্ধারণ করা, মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলের জন্য সার্ভিস লেন চালু করা, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়-হয়রানি বন্ধ করা, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের প্রশাসনিক উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

এই ৬ দফা দাবিতে ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা আগামীকাল ১৯শে জানুয়ারি সকাল ১০টায় নগরেরর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছি।  এই সমাবেশ পালন করতে গিয়ে আমরা কিছু পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি যা জনগণকে জানানো দরকার বলে আমরা মনে করছি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশের জন্য আমরা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথম গতবছরের ২০শে ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেই এবং স্থান হিসেবে শহীদ মিনার চত্বর নির্ধারণ করি। আমাদের সমাবেশের প্রচারপত্র বিলি শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই শহীদ মিনারের চত্বরে সিটি কর্পোরেশনের সংস্কারকাজ শুরু হয় যা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে বলে আমরা জানতে পারি। বাধ্য হয়ে আমরা আমাদের কর্মসূচি বঙ্গবন্ধু উদ্যানে স্থানান্তর করি ও জেলা প্রশাসককে মৌখিকভাবে ও পরবর্তীতে লিখিতভাবে অবহিত করি। অবহিত করার পরও আমাদের নেতিবাচক কিছুই জানানো হয়নি। সর্বশেষ গত ১৭ই জানুয়ারি আমরা একটি চিঠির মাধ্যমে অবহিত হই যে আমাদের কর্মসূচির বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে এবং আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমাদেরকেও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করতে বলা হয়। বিষয়টি আমাদেরকে খুবই অবাক করেছে কারণ এর আগে পর্যন্ত সবসময়ই জেলা প্রশাসনের কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধু উদ্যান বরাদ্দ নেওয়া হতো এবং সর্বশেষ বরিশালে বিরোধী দলের সমাবেশ ও এই প্রক্রিয়ায়ই হয়েছে। আমরা মনে করি সভা-সমাবেশ নাগরিকদের গনতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বরিশালে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ও শ্রমিক ফ্রন্টের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেভাবে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ও অন্য জায়গায় মতামত নিতে বলা হয়েছে তা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ় কন্ঠে ঘোষণা করতে চাই আমরা শ্রমিকদের বৈধ লাইসেন্সের দাবিতে ১২ বছর ধরে আপোষহীন সংগ্রাম করে আসছি এবং সব বাধা অতিক্রম করে আমরা আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ ও সফল করব।  

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বরিশাল জেলার সংগঠক দুলাল মল্লিক, আব্দুল মানিক হাওলাদারসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৮, ২০২৩
এমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।