ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত হলেন যারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত হলেন যারা

ঢাকা: রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে  ঢাকা মেট্রোপুলটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক তাদের হাতে এই পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন।

এ সময় ডিএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালবাগ বিভাগের চকবাজার জোনের জায়েন উদ্দীন মুহাম্মদ যিয়াদ। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালবাগ থানার মো. শাহ আলম। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভাটারা থানার মোঃ. মোরশেদ আলম ।

এছাড়া শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্টন মডেল থানার মো. মিজানুর রহমান ও চকবাজার থানার মো. মামুন হোসেন। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী শিকদার। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এএসআই সঞ্জয় কুমার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন দারুসসালাম থানার এসআই রহমত উল্লাহ। অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন বিমানবন্দর থানার এসআই মো. মিকাইল মোল্লা। আর ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মামুন হোসেন। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার সঞ্জয় কুমার ও মতিঝিল থানার মো. নুরুল ইসলাম

এদিকে ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদত হোসেন সুমা । তিনি মাদকদ্র্রব্য উদ্ধার করেও শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে উত্তরা বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উত্তরা পূর্ব-ট্রাফিক জোনের মো. রফিকুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক পরিদর্শক হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের ধানমন্ডি-ট্রাফিক জোনের মো. মেহেদী হাসান। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের মো. রেজাউল হক ও তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের আব্দুল কাদের। এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৩ টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার অফিসার এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কাজের উদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা. জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।