ঢাকা: রাজধানীর কাপ্তান বাজার থেকে বিপন্ন প্রজাতির বেশ কয়েকটি শিলং ও একটি বড় আকারের বাঘাইড় মাছ জব্দ ও পচা মাছ-মাংস এবং ভেজাল চিংড়ি উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে এই সচেতনতামূলক তদারকি কার্যক্রমে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশন।
বেলা পৌনে ১২টা থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত চলা এই অভিযানে বিপন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও পঁচা মাছ-মাংস এবং ভেজাল চিংড়ি জব্দ করা হয়। পরে অভিযান শেষে জব্দকৃত এসব মাছ-মাংস সবার সামনে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের শুরুতে মাংসের দোকানে অভিযান চালান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা। সেখানে তারা দুটি দোকানে ফ্রিজিং করা পচা মাংস পান। এছাড়া বেশ কয়েকটি দোকানে জমিয়ে রাখা রক্তও পাওয়া যায়। এসব রক্ত ঝুলিয়ে রাখা মাংস তাজা দেখাতে ব্যবহার করা হয় বলে জানান বিক্রেতারা। পরে এসব রক্ত ড্রেনে ফেলে দিয়ে পঁচা মাংস জব্দ করেন কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ওই দুই বিক্রেতার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
মাংসের দোকানের পর অভিযান চালানো হয় মাছের বাজারে। সেখান থেকে জব্দ করা হয় বিপন্ন প্রজাতির শিলং ও বাঘাইড় মাছ। এছাড়া পচা বোয়াল ও পোয়া মাছ এবং জেলি দেওয়া ভেজাল চিংড়ি জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত এসব মাছ-মংস কেটে ব্লিচিং পাউডার ও কেরোসিন ছিটিয়ে নষ্ট করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, আমাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবার আমরা কাপ্তান বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে দুটি দোকানে বিপন্ন শিলং ও বাঘাইড় মাছ পাওয়া গেছে। এছাড়া পচা মাছ-মাংস ও ভেজাল চিংড়ি পাওয়া গেছে। সেগুলো আমরা ধ্বংস করেছি এবং দোকানিদের সতর্ক করেছি। এছাড়া পচা মাংস রাখায় দুই মাংস বিক্রেতার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে কাপ্তান বাজারে আর পচা ও ভেজাল মাছ-মাংস পাওয়া যাবে না- এমন আশা করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের তদারকি কার্যক্রাম পরিচালনা করছি। ভবিষ্যতে এই বাজারে পঁচা মাছ-মাংস পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসসি/এনএস