ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাড়ে ১১ হাজার বই পাচার, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
সাড়ে ১১ হাজার বই পাচার, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে ১১ হাজার বই পাচারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ।

রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন, সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক প্রভাষক মাসুদুর রহমান প্রামাণিক, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা আ.লীগের সহ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মাস্টার, পৌর আ.লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জাসদের সাবেক সভাপতি মুসলিম আলী মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা সিপিবির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পিপুল, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমিনুল ইসলাম সাজু, উদীচী উপজেলা সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বই চুরির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েবার বই চুরির ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এবার সারাদেশে বই নিয়ে সংকট চলছে। এরই মধ্যে বইয়ের গোডাউন থেকে সাড়ে ১১ হাজার বই চুরি করে পাঁচার করা হয়। এই ঘটনা শুধু একটি নিছক চুরির ঘটনাই নয়। এটি সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য এটি ঘটানো হয়েছে। এতোগুলা বই চুরি করা মাধ্যমিক অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা মনে করি এ ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত।

যাদের কাছে গোডাউনের চাবি থাকে তারা কোনোভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না। তাই জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা দরকার।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে সুন্দরগঞ্জ থেকে সাড়ে ১১ হাজার সরকারি বই ট্রাকে করে পাঁচারকালে ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বইগুলো উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ।  

এ ঘটনায় পরদিন ১৬ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মণ্ডর বাদি হয়ে অফিস সহায়ক মাজেদ, ট্রাক ড্রাইভার শ্যামল ও হেলপার রাসেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।  

মামলাটি সুন্দরগঞ্জ থানার এসআই আরিফুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ডিবি পুলিশের উপর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।  

পরে ওই মামলায় গ্রেফতার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মো. মাজেদুর রহমান (৪৮), ট্রাকের চালক শ্যামল মিয়া (৩৫) ও তার ভাই রাসেল মিয়াকে (৩৩) আদালতে তুলে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হলে। বিজ্ঞ আদালত প্রত্যেক আসামির দুই দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

পাচার করা ট্রাকভর্তি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বইয়ের বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির এসব বই বিনামূল্যে বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।