ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন চূড়ান্ত খসড়াটি বর্তমানে মন্ত্রী পরিষদে পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এটিকে দ্রুত পাস করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারটি আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডর্‌প)।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমি কথা দিচ্ছি সংশোধিত খসড়া আইনটি মন্ত্রীপরিষদে উত্থাপিত হলে এর সপক্ষে অগ্রণী ভূমিকা রাখব। সংশোধিত খসড়ায় ৬টি আইনটি তামাক ব্যবহার হ্রাস করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সফল করতে এই আইনটি দ্রুত পাস করা প্রয়োজন। মন্ত্রীপরিষদে সংশোধিত আইনটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং আমি আশা করি এর পক্ষে সকলেই মত দেবেন। এ ব্যাপারে সাংসদবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়গুলো সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

তামাকজাত দ্রব্য সেবনের ঝুঁকি সম্পর্কে সবাই অবগত থাকলেও এর বিরুদ্ধে প্রচারণা কম উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি সিগারেট ও অন্যান্য তামাকপণ্য সেবন করাতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়। তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে প্রচারণা বাড়াতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যপক ব্যবহার একটি মানবসৃষ্ট মহামারি এবং এর প্রতিকার করা সম্ভব। খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে যেসব ইতিবাচক সংশোধন আনা হয়েছে সেগুলো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারকে অচিরেই বাস্তব রূপ দেবে বলে আমি মনে করি।

অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি সম্পর্কে এখনও সাধারণ জনতা অসচেতন তাই এর বিরুদ্ধে প্রচারণা বাড়াতে হবে। তামাক চাষ বন্ধ না করা হলে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার রোধ করা কষ্টসাধ্য হবে।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের উচিত সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস ও কার্যকর করতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া। এখনই যদি তামাকের কুপ্রভাব এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সরকার সচেতন হয় তাহলে অনেক প্রাণ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী ও তরুণসমাজ রক্ষা পাবে। আইনটির কঠোর প্রয়োগ অল্পবয়সে তামাকজাত পণ্য সেবন নিরুতসাহিত করবে বলে আমি মনে করি।
সভাপতির বক্তব্যে ডর্‌প এর নির্বাহী উপদেষ্টা মো. আজহার আলী তালুকদার বলেন, তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার এখনই সময়।

ডর্‌প কর্তৃক উত্থাপিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার ৬টি প্রস্তাব হলো- সব ধরনের উন্মুক্ত স্থান এবং গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সব ধরনের খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ করা এবং বিড়ি ও সিগারেটের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডর্‌প এর নির্বাহী উপদেষ্টা আজহার আলী তালুকদার। সঞ্চালনা করেন ডর্‌প এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. যোবায়ের হাসান। এসময় সুশীল সমাজের সদস্যগণ এবং যুব ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
ইএসএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।