ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাজিরায় ফের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
জাজিরায় ফের সংঘর্ষ, আহত ১৫

শরীয়তপুর: তিনদিন না যেতেই শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কাজীরহাট মোড় সংলগ্ন আব্দুর রাজ্জাক হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ সংঘর্ষ হয়।

এ সময় দু’পক্ষই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়।

জানা গেছে, কাজীরহাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নুর হোসেন কাজী ও রুস্তম বেপারী গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় লাঠিপেটা করে দু'পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এছাড়া নুর হোসেন কাজী (৫৫) ও আমীর হোসেন মাদবর (৪৫) নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।  

অন্যদিকে, আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর কয়েকজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আহতরা হলেন- রুস্তম বেপারী গ্রুপের লিয়াকত কাজী (৪৫), রুস্তম বেপারী (৫০), সজিব বেপারী (২২), সুজন বেপারী (২৮) ও নুরুল ইসলাম বেপারী; এবং নুর হোসেন কাজী গ্রুপের নুরুল আমিন কাজী (৫৫), জুয়েল কাজী (২২), মরণ মৃধা (২৫), সুজন কাজী (২০), নুর হোসেন কাজী (৫৫), মনির কাজী (২৭) প্রমুখ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর দবির হোসেন বেপারী বলেন, সকালে রুস্তম বেপারী ও নুর হোসেন কাজীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে নুর হোসেনের বড় ছেলে মনির কাজী ও ভাতিজা নুরুল আমিন কাজীর ছেলে কোরবান কাজী রুস্তম বেপারী ও লিয়াকত কাজীকে আক্রমণ করে। যার ফলে সংঘর্ষ বাধে।

সন্ধ্যায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এছাড়া কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে জাজিরার বিলাশপুর ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও ফারুক মাদবর গ্রুপের সঙ্গে জলিল মাদবর ও সালেক মাদবর গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় সাতজন আহত ও ছয়জন আটক হলেও তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।