ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘গঙ্গা বিলাস বিরোধীরাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চায় না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
‘গঙ্গা বিলাস বিরোধীরাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চায় না’

ঢাকা: বিদেশের সঙ্গে বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন যাতে না হয়, সেজন্য বিলাসবহুল পর্যটন জাহাজ ‘গঙ্গা বিলাস’ এর বাংলাদেশে আসার বিরোধীতা করা হচ্ছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।  

তিনি বলেন, এই বিরোধীতাকারীরাই প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চায় না, তারা চায় সম্পর্কে যাতে ঘাটতি হয়।

এসব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসব কথা বলছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয়দিনে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে নৌপ্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছে আমাদের দুটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। কম উচ্চতার যে ব্রিজগুলো আছে, এগুলো করতে যাতে বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন নেওয়া হয়, এ বিষয়টি যাতে তারা (ডিসি) তদারকি করেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে- ভারত থেকে জাহাজ গঙ্গা বিলাস বাংলাদেশ হয়ে আসামে যাবে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সেটি খুলনার কয়রা অতিক্রম করবে। সেখানে কাস্টমস ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে ৫ ফেব্রুয়ারি আমরা তাদের মোংলা বন্দরে স্বাগত জানাবো। তারা অনেকগুলো পর্যটন এলাকা, অনেকগুলো জেলা অতিক্রম করে আসবে। গত ১৩ জানুয়ারি ভারত থেকে যাত্রা শুরু করেছে প্রমোদতরী ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’। এটি বারানসি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকদের বলেছি, এ বিষয়টি যাতে তারা নিবিড়ভাবে তদারকি করেন। কারণ এটা আমাদের পর্যটনের ক্ষেত্রে বিরাট একটি সুযোগ। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। এজন্য জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করতে বলেছি।

জাহাজ গঙ্গা বিলাস প্রকৃতির জন্য অনেক ক্ষতিকর হবে বলে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি এ কথা ধরি, তবে আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন বলি কেন? এই জাহাজ চলাচল আমদানি-রপ্তানির কারণেই তো।

খালিদ মাহমুদ বলেন, পর্যটন কিভাবে হবে! পর্যটন তো এভাবেই হয়। যারা এগুলো বলছে, তারা বিদেশের সঙ্গে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন যাতে না হয়, সম্পর্কের ঘাটতি হয়, এসব দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা বলে। তারা দেশের উন্নয়নের কথা বলছে না, এই চক্রটাই রামপালে পরিবেশের কথা বলে বাধা দিয়েছিল। আমরা যে মোংলা বন্দরের গভীরতা তৈরি করছি, সেখানে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে, তারাই এর বিরোধিতা করছে। ঢাকার চারপাশ থেকে যখন নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৯০০ একর জমি আমরা উদ্ধার করেছি। তখন তারা কি বলেছে, বেসরকারি থেকে সরকারি দখলে যাচ্ছে। এই কথাগুলো আমাদের শুনতে হয়েছে। এই ধরনের দেশবিরোধী মানুষের কথা শুনলে দেশ আগাবে না।

আপনাদের কি কোনো পরিবেশগত সমীক্ষা রয়েছে? জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গঙ্গা বিলাস তো একটা জাহাজ, আসতেছে। এ রকম হাজার হাজার জাহাজ এ পথে চলাচল করছে। কিন্তু কই আমাদের পরিবেশগত তো কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের জীববৈচিত্র্য তো নষ্ট হয়নি। গত ১৫ বছর আমরা অনেক ইলিশ মাছ খাচ্ছি। ১৫ বছর আগে ইলিশ মাছ ছিল না।

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অধিবেশনের বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে যাতায়াতের চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো জেলা প্রশাসকরা বলেছেন। সেগুলো আমরা আমলে নিয়েছি। গত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তারা যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছিলেন সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আজকে তারা যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন, সেগুলো আমরা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
জিসিজি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।