বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার তাফালবাড়ি বাজারে রায়েন্দা ইউনিয়ন ও সাউথখালী ইউনিয়নবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের জেরে এদিন (২৭ জানুয়ারি) বিকেল থেকে তাফালবাড়ি বাজারের দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
সংঘর্ষে রায়েন্দা ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ফেরদাউস জমাদ্দার, মাসুম মীর, সানাউল আলম সানা জমাদ্দারসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের ভাতিজা মাসুমসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা এলাকায় রায়েন্দা ইউনিয়নের হুমায়ুন আজাদ মিঠু নামের এক যুবক একটি স-মিল স্থাপন করেন। এই স-মিল নিয়ে সাউথখালী এলাকার আল আমিন দফাদারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে আল আমিনের সঙ্গে হুমায়ুন আজাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে হুমায়ুন আজাদ মিঠুর লোকজনের সঙ্গে আল আমিন দফাদারের লোকজনের হাতাহাতি হয়। দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং একে অপরকে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি করে।
এক পর্যায়ে শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন এসে আল আমিন দফাদারের পক্ষে মিঠুর লোকদের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে শরণখোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখনও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
এদিকে, খবর শুনে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আছাদুজ্জামান মিলন, শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, মূলত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে আমাদের (সাউথখালী) লোকজন রায়েন্দা এলাকার লোকজনকে মারধর করে ওপার পাঠিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এছাড়া রায়েন্দার লোকজনের হামলায় আমাদের বেশকিছু লোক আহত হয়েছেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
এনএস