ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নয়ন প্রকল্পে ডিসিদের আর্থিক ক্ষমতা চাওয়া অযৌক্তিক: আইইবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
উন্নয়ন প্রকল্পে ডিসিদের আর্থিক ক্ষমতা চাওয়া অযৌক্তিক: আইইবি

ঢাকা: জেলাপ্রশাসক সম্মেলনে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলন প্রস্তুত, ডিজাইন ও তদারকিসহ প্রকল্পের আর্থিক ব্যয়ের ক্ষমতা চাওয়ার অযৌক্তিক প্রস্তাব উপস্থাপিত হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে পেশাজীবীদের প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। বৃহস্পতিবার রাতে আইইবির এক জরুরি সভার পর এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

পরে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়, জেলাপ্রশাসক সম্মেলন-২০২৩ এ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ডিসিরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অবাস্তব ও অযৌক্তিক। এরকম দাবি উত্থাপন করে ডিসিরা বিদ্যমান প্রকিউরমেন্ট আইন লঙ্ঘন করতে চাচ্ছেন। পিপিআর-২০০৮ এর বিধি-১২ এর আলোকে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পূর্ত কাজসমূহ সম্পাদনের জন্য কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন প্রকৌশল সংস্থা গণপূর্ত এবং এলজিইডি বাস্তবায়ন করে থাকে।

ডিসিদের মতামত দেখে প্রতীয়মান হয় যে, কারিগরী প্রকল্পের প্রাক্কলন প্রস্তুত, ডিজাইন, তদারকি ও গুণগতমান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের পরিবর্তে তারা বেশি পারদর্শী। ডিসিরা বলেছেন ‌‘প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রকল্পের প্রাক্কলন, ডিজাইন, মনিটরিং ও গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নে সমস্যা হয়’; আইইবি মনে করে, এ ধরনের মন্তব্য চরম ধৃষ্টতার শামিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ডিসিরা তাদের সমন্বয় কাজ যথাযথভাবে শেষ করলে প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ডিসিদের এ ধরনের দাবির বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারির আদেশ স্থগিত করার মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্মেলনে ডিসিদের উত্থাপিত প্রস্তাবে প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার বিষয়ে প্রকৌশলীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন- ২০২৩ এ ডিসিদের উল্লেখিত প্রস্তাব বিবেচনা না করার জন্য সরকারের কাছে আইইবি জোর দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে দেশের প্রকৌশলীরা একযোগে জোরালো কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।  

গত ২৫ জানুয়ারি আইইবির প্রেসিডেন্ট নূরুল হুদার নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থার প্রধানদের এক জরুরি সভা এবং ২৬ জানুয়ারি আইইবির সার্ভিসেস অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইইবির কেন্দ্রীয় নেতারা, বিভিন্ন প্রকৌশল সংস্থার প্রধানসহ প্রায় শতাধিক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। সভায় এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০২৩
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।