ঢাকা: রাজনৈতিক জনসভা মানে জনগণের কল্যাণ। তাহলে কেন রাজনৈতিক যেকোনো জনসভা ও বিক্ষোভে সাধারণ মানুষকে হয়রানি হতে হয়? এমনিতেই ঢাকা শহরে জ্যামের জন্য চলা যায় না।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন সড়ক থেকে রামপুরাগামী রাইদা পরিবহনের যাত্রীরা একে অপরকে সড়কে ভয়াবহ জ্যাম প্রসঙ্গে এমন কথা বলতে শোনা যায়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাইফ ইন্সুরেন্সে মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন আতিকুল ইসলাম। তিনি রাইদা পরিবহনের অপর যাত্রীদের উদ্দেশ্য বলতে থাকেন যদি এখান থেকে নতুন বাজার যেতে দুই ঘণ্টা লাগে তাহলে আমরা কোথায় আছি। অথচ রাজনৈতিক জনসভা জনগণের কল্যাণের জন্য। বিক্ষোভ জনগণের কল্যাণের জন্য। আমরা যে সড়কে ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি, এগুলো কেউ দেখার নেই আর কোনোদিন থাকবে না। সাধারণ জনগণ আজীবন ভোগান্তির শিকার হয়েই যাবেন।
এরইমধ্যে অপর এক যাত্রী বলেন, জনগণের ভোগান্তি হয় এ রকম কোনো জনসভায় সড়কে করা উচিত নয়। আর যদি কোনো রাজনৈতিক দলের জনসভার সড়কে করার অনুমতি দেয়, তাহলে সেদিন সরকারি-বেসরকারি ছুটি ঘোষণা করা উচিত। নয়তোবা জনসভাগুলো কোনো নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে রাখা উচিত। এ কথায় অনেকে দ্বিমত পোষণ করলেও অনেকে আবার একমত পোষণ করে বলেন, ঢাকার বাইরে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো করা উচিত।
এদিকে নতুন বাজার এলাকা থেকে রামপুরাগামী সড়কে জাতীয়বাদী শ্রমিকদলের বিক্ষোভ মিছিল দেখা যায়। ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তাদের সড়কজুড়ে মিছিল করতে দেখা যায়। সড়কে তাদের মিছিল দেখে মনে হচ্ছে এটা যানবাহন চলাচলের সড়ক নয়, জনসভা ও বিক্ষোভ করার সড়ক। এ কারণে রামপুরাগামী সড়কে ভয়াবহ জ্যাম লেগে যায়। এতটাই জ্যাম যে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যার যার গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সড়কে মিছিল থাকার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাড্ডা থেকে রামপুরা গিয়ে মিছিলটি শেষ করার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
এজেডএস/আরবি