ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জেলা মহিলা লীগের সদস্য মমতাজ জাহান মিতু নামে এক নেত্রীর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির বাসা ভাড়া নিয়ে জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের ধামদী গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ইসহাক মিয়ার পুত্রবধূ শাজমুন্নাহার সাজু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে পৌর শহরের ধামদী গ্রামে ইসহাক মিয়ার একটি বাসা ভাড়ায় উঠেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য মমতাজ জাহান মিতু।
সেই থেকে প্রতি মাসে বাসা ভাড়া পরিশোধ করলেও ২০২১ সাল থেকে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন এই মহিলালীগ নেত্রী। এরপর মিতু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজেকে ওই বাসার মালিক বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় বাসার মালিক ইসহাক মিয়া ভাড়াটিয়া মিতুকে তিন দফা লিগ্যাল নোটিশ করেন। কিন্তু এই নোটিশ কর্ণপাত না করে মিতু জোরপূর্বক ওই বাসা দখলে রেখে বসবাস করে আসছেন।
শাজমুন্নাহার সাজু আরও বলেন, বর্তমানে আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। এ অবস্থায় আমার স্বামী রুবেল মিয়া বাসার মালিকানা নিয়ে কথা বলায় তাকে মিথ্যা ও সাজানো ধর্ষণ মামলায় জেলে আটকে রেখেছে মিতু ও তার লোকজন।
প্রকৃত পক্ষে এই বাসার জায়গাটি ক্রয়সূত্রে মালিক আমার শ্বশুর ইসহাক মিয়া। তার নামে দলিল, খাজনা খারিজ ও বিদ্যুৎ মিটার রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এই নেত্রী আমাদের বাসাটি জোরর্পূবক জবরদখল করতে চাইছে। বর্তমানে এই মহিলা লীগ নেত্রীর ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর মেহেদী হাসান রুবেল, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আব্দুল জব্বার, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহিম, মাহাবুব হাসান তুহিন প্রমুখ।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলা লীগ নেত্রী মমতাজ জাহান মিতু। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, এই বাসাটি সরকারি সম্পত্তি। কিন্তু ইসহাক মিয়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই বাসাটি আমার কাছে বিক্রি করেছে। এর বায়না দলিলও আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
আরএ