খাগড়াছড়ি: রামগড় উপজেলায় সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে নানা রকম দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভূমি মালিকদের অর্থ আত্মসাৎ, তাদের নাম বাদ দিয়ে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে এসে অভিযোগগুলো লিখিত আকারে দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন আবু আহমেদ। তার অভিযোগ, ভূমির রেকর্ড ও সরকারি সকল ফি পরিশোধের পরও রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্ত করণ প্রকল্পের রামগড় অংশে প্রকৃত মালিকদের দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ দুর্নীতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। রামগড় ভূমি অফিস ও স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট মিলে এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী ফিরোজ উদ্দিন জানান, রামগড়ের সোনাইপুল বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০০১ সালে জমি কিনে তা রেজিস্ট্রিও করেছেন তারা। কিন্তু গত ১৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি ডিসি অফিস থেকে ভূমি অধিগ্রহণের যে নোটিশ দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদের দখলদার উল্লেখ করে আগের মালিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভূমি অফিসের লোকজন আগের মালিকের সঙ্গে মিলে এ কাজ করেছে
অভিযোগগুলো নিয়ে কথা হলে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ফেরদৌসী বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম (ভূমি অধিগ্রহণ) প্রবিধান ১৯৫৮ অনুযায়ী রামগড় মৌজায় বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্ত করণ শীর্ষক প্রকল্পে জনস্বার্থ ও জনকল্যাণ কাজে ভূমি অধিগ্রহণের নোটিশ জারি করা হয়েছে। যৌথ তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভূমির প্রকৃত মালিক নির্ধারণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের কথাও তদন্তে শোনা হবে।
প্রসঙ্গত, বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্ত করণ কাজে রামগড় অংশে ১৭ একর ভূমির অধিগ্রহণের আওতায় আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এডি/এমজে