ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে ১৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি ব্যাগ কারখানার আগুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
বাগেরহাটে ১৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি ব্যাগ কারখানার আগুন

বাগেরহাট: ১৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি বাগেরহাটের মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)র ভিআইপি- ব্যাগ-১ নম্বর কারখানার আগুন।  

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায়ও ফ্যাক্টরির মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

 

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন কোথাও ছড়িয়ে পড়া এবং ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ফ্যাক্টরির মধ্যে থাকা শ্রমিক ও কর্মচারীরা আগুন দেখেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছিল। এছাড়া ইপিজেড এলাকার অন্যান্য ফ্যাক্টরি ও প্রতিষ্ঠানের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে আগুনের ঘটনায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ফ্যাক্টরির সহকারি ব্যবস্থাপক আশীস কুমার কর্মকার।

সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ফাক্টরির কাঁচামাল ও মেশিনারিজ পুড়ে একশ পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আশীস কুমার কর্মকার বলেন, ফ্যাক্টরিতে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির ফেব্রিক্স, ট্রলি, হুইল, ফোম, সুতা সব পুড়ে গেছে। মেশিনারিজও শেষ হয়ে গেছে। তাতে আমাদের প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ফাক্টরির শতভাগ পণ্য বিদেশে রপ্তানি হত।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, এখনও আগুন জ্বলছে। তবে আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগুন সম্পূর্ণরূপে নেভানোর জন্য ফায়ার ফাইটাররা কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোংলা ইপিজেডে থাকা ভিআইপি ইন্ডাষ্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভিআইপি-১ ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যাক্রমে  খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে ফ্যাক্টরির ভিতরে পলেস্টার টাইপের ফেব্রিক্স, ফোম ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন ফায়ার ফাইটাররা।

এদিকে, সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পার হলেও, আগুন লাগার কারণ নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। আগুনের কারণ জানতে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।  

স্থানীয় এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, কারখানায় ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় আগুনের ফুলকি এসে পড়ে ফোমের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে কক্ষটি ধোয়ায় আচ্ছন হয়ে পড়ে এবং আগুন লেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।