ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৪ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে ব্যাগ কারখানার আগুন, ক্ষতি দেড়শ কোটি টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
২৪ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে ব্যাগ কারখানার আগুন, ক্ষতি দেড়শ কোটি টাকা

বাগেরহাট: দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা পরে বাগেরহাটের মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ভিআইপি-ব্যাগ-১ নম্বর কারখানার আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।  

বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় ফায়ার আউট ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সময়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করেছে। তবে পর্যবেক্ষন করার জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় মোংলা ইপিজেডে থাকা ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড নামের ভিআইপি-১ ব্যাগ কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। তবে ফ্যাক্টরির ভেতরে পলেস্টার টাইপের ফেব্রিক্স, ফোম ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন ফায়ার ফাইটাররা।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন স্টেশনের কয়েকটি ইউনিট আগুন নির্বাপন কাজে অংশ নেয়। কিন্তু ফ্যাক্টরির মধ্যে ফেব্রিক্স, ফোম, ট্রলি ও ক্যামিকেল থাকায় আগুন নেভাতে একটু সমস্যা হয়েছে। সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছি। এরপরেও যদি কোথাও থেকে সুপ্ত আগুন আবার জ্বলে ওঠে সঙ্গে সঙ্গে তা নির্বাপন করা হবে। এজন্য পাম্প ও ফায়ার ফাইটাররা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ফ্যাক্টরি পর্যবেক্ষণ করছেন।

এদিকে আগুনের ঘটনায় দেড়শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ফ্যাক্টরির সহকারী ব্যবস্থাপক আশীস কুমার কর্মকার।

সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ফাক্টরির কাঁচামাল ও মেশিনারিজ পুড়ে একশ পঞ্চাশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এ সময় আমাদের কোনো শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা আহত হননি। আগুন দৃশ্যমান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা নিরাপদ স্থানে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ জানতে মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মোংলা ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসান মুন্সির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাবে।

মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ইপিজেডের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ভিআইপি-১ ফ্যাক্টরির আগুন নির্বাপন করা হয়েছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।