লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু নিজ অফিসে বসে মাদকসেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলতে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে উপস্থিত হন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে অফিস করেন ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু। সেই অফিসে বসে মাদকসেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ভাইস চেয়ারম্যান মিরু তার অফিসে দুইজন লোকসহ বসেছিলেন।
এ সময় লুঙ্গি পড়িহিতা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া এলাকার কানিপাড়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলায় অভিযুক্ত ইউসুফ (৪২) রুমে প্রবেশ করে সোফায় বসেন। ওই ব্যাক্তির কোমরে থাকা একটি ফেনসিডিলের বোতল কৌশলে মিরুর হাতে দেন। এরপর ভাইস চেয়ারম্যান মিরু তা নিয়ে টয়লেটে চলে যান। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করেছেন লালমনিরহাটের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম। বুধবার সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন তিনি। এ সময় ভাইস চেয়ারম্যান ও তার হাতে বোতল তুলে দেওয়া ব্যাক্তি ইউসুব আলীসহ সংশ্লিষ্ঠ অনেকের সঙ্গে কথা বলেন উপ-পরিচালক।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন আনোয়ার হোসেন মিরু বলেন, আমি মাদক নেইনি। আমার শারিরীক ও গোপন সমস্যার জন্য ইউসুফ নামের ওই ব্যাক্তি ঔষুধের বোতল দিয়েছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, অফিস কক্ষে বসে মাদক সেবনের ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম এই তদন্ত করছেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে তদন্ত কমিটি ব্যবস্থা নিবেন।
তদন্ত কর্মকর্তা লালমনিরহাট স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
এফআর