ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাড়ি চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
গাড়ি চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার

রাজবাড়ী: গাড়ি চুরি করে কিছুদিন পরে গাড়ীর মালিকের কাছে গাড়ী ফেরত দেওয়ার কথা বলে ফোনের মাধ্যমে টাকা দারি করতো চোর চক্র। এমন একটি গাড়ি চোর চক্রের ৪ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ।

গত ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর রাজবাড়ী জেলা সদরের চরলক্ষীপুর এলাকার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের একটি ইট ভাটার পাশে পলাশ খন্দকারের বাসা থেকে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার ঢাকা মেট্টো-গ-২৭-৪৮৯৯ চুরি হয়।

পরবর্তিতে সদর থানায় জিডি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর গাড়িটি উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জন চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ১২টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান।

গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বড় লক্ষণদিয়া গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. মেজবাউল হক, কোতয়ালী থানার কৈজুড়ি ইউপির তাম্বুলখানা গ্রামের রব হাওলাদারের ছেলে সেলি হাওলাদার, যশোর জেলার চৌগাছা থানার কুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মো. লিখন মিয়া, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার পুঠিয়া ইউপির তেলিয়া বাজার গ্রামের আলি হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান জানান, রাজবাড়ী জেলার সদর থানার বিশেষ অভিযানে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা ও নরসিংদী জেলা হতে আসামিসহ প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা আন্তঃজেলা প্রাইভেট কার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে চোরাই প্রাইভেটকার ক্রয় বিক্রয় সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে প্রাইভেটকার চুরি করে গাড়ির রং ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে। গ্রেফতারকৃত এই গ্রুপটি দির্ঘদিন ধরে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসছিল। রাজবাড়ী জেলা পুলিশ এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় নিয়মিত চুরি ও চোরাই উদ্ধার মামলা করা হয়েছে।

গাড়ির মালিক মো. পলাশ খন্দকার বলেন, আমি আমার এই গাড়িটি একটি ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ করে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কিনে ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাই। এখনও আমাকে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। চুরি হওয়ার পরে চোরেরা আমার কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করে। আমি থানায় জিডি করে আইনি সহায়তা চাই। পুলিশের সহযোগীতায় গাড়িটি ফিরে পেয়ে আবার জীবন ফিরে পেলাম। জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।

বাংলাদেশ সময়:১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।