ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমাদের গুপ্তধন নেই, যা দিয়ে সার কিনবো: কৃষিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
আমাদের গুপ্তধন নেই, যা দিয়ে সার কিনবো: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: সারা পৃথিবীতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমাদের মতো দেশ কীভাবে এ ব্যয় বহন করবে? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে, সে টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসবো বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তখন রুশ মুদ্রা রুবলের সঙ্গে টাকার বিনিময়কে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক জিনিসের দাম কমলেও বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়েনি এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ওই রকম কমেনি। আমাদের পাঁচ ডলার যেটার দাম ছিল, সেটা পঁচিশ ডলারে আছে। তার মানে এখনো পাঁচ গুণ বেশি। একটন এমওপি ছিল ২১৯ কিংবা ২৫০ ডলার। সেটা এখনো ৬০০ ডলার। আমাদের মতো দেশ কীভাবে এ ব্যয় বহন করবে? এত টাকা আমরা কোথা থেকে দেবো? আমাদের তো কোনো গুপ্তধন নেই যে সে টাকা দিয়ে সার কিনে নিয়ে আসবো।

তিনি বলেন, রুবলের সঙ্গে টাকা বিনিময় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছে। চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

মন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আমরা-তো সেটা থেকে মুক্ত না। তেলের দাম যদি না কমে, যুদ্ধ যদি বন্ধ না হয়, পাঁচ ডলারের এলপিজি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ ডলারে। এটা ৬০ ডলারেও উঠেছিল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল-গ্যাস না কিনে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিনছে। সেখান থেকে নিয়ে তারা জমিয়ে রাখছে। কাজেই এ নিষেধাজ্ঞা কেবল রাশিয়ার বিরুদ্ধেই না, আমাদের বিরুদ্ধেও।

তিনি বলেন, সব দেশের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাও আমাদের ক্ষতি করছে। মানবজাতির শান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত। সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া উচিত, যাতে পৃথিবীর অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। কম আয়ের, সীমিত আয়ের মানুষদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে জ্বালানির কারণে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

উপনির্বাচনে কম ভোট পড়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ নির্বাচন যখন হবে, তখন ব্যাপক ভোট কাস্ট হবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।  

আওয়ামী লীগ চোরাগলির পথে কোনোদিন ক্ষমতায় আসে না জানিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন কোনো সামরিক বাহিনী, লালকুটি, নীলকুটিতে কোনো ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসেনি। জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে। জনগণই আমাদের শক্তি। তাদের নিয়েই আন্দোলন মোকাবিলা করেছি।

হিরো আলমকে ঠেকাতে এমন অবস্থা হয়েছে, সেখানে আওয়াী লীগ নেতাদের অবস্থা কোন জায়গায় আছে, বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনে আসুক। আমাদের অবস্থা তখন প্রমাণ হবে। জনগণ ভোট দিয়ে দেখাবে আমাদের অবস্থা কেমন আছেন।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমি মনে করি হিরো আলমকে দাঁড় করিয়ে নির্বাচনকে হাস্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের (বিএনপি) যদি শুভবুদ্ধির উদয়, তবে জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন। মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির লোকজন তাকে ভোট দিয়েছে। এটা দিয়ে নির্বাচনকে পরিমাপ করা যাবে না।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ