ঢাকা: প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে মোছলেম উদ্দিন আহমদ পাশে থেকেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিটি মানুষের কর্মফল মানুষ স্মরণ করে, মোছলেম উদ্দিনের কর্মও মানুষ স্মরণ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চট্রগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সোমবার অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকার শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মোছলেম উদ্দিন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছেন। রাজনীতিতে তার কোনো ব্যত্যয় ছিল না। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিলেন। তিনি একজন গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন, গেরিলা যোদ্ধার মতোই কাজ করেছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে এসে আবারও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মৌলভী সৈয়দ, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে ছিলেন। জিয়াউর রহমান মৌলভী সৈয়দকে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন অত্যাচার করে হত্যা করে। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল। আমরা এই ভোট চুরির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম, সে আন্দালনেও মোছলেম উদ্দিন ছিলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, লালদিঘির ময়দানে আমার ওপর গুলি করা হয়, একবার না দুই বার। সে সময়ও মোছলেম উদ্দিন পাশে থেকেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে তিনি পাশে থেকেছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন, কিছু দিন আগে চট্টগ্রামে জনসভা করেছি। ওই কর্মসূচি সফল করার জন্য তিনি কাজ করেছেন। ওই সময় তার একটা কেমো নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নেন নাই, মনে করেছেন জনসভার পরেই নেবো। দলের প্রতি, রাজনীতির প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক নেতাকেই আমরা হারিয়েছি করোনার সময়। এই সংসদে আমাদের আওয়ামী লীগের ২১ জন সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির দুই জনকে আমরা হারিয়েছি। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তিনি টেকনোক্র্যাট ছিলেন, তাকে হারিয়েছি। মানুষ মরণশীল, একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। কিন্তু তার কর্ম ফলটাই মানুষ স্মরণ করে। মোছলেম উদ্দিনকেও মানুষ স্মরণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ