লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে সোনার আংটি নিয়ে না আসায় শুরু হয় ঝগড়াঝাটি। এক পর্যায়ে মারধরের শিকার হয়েছেন অনুষ্ঠানে আসা চার অতিথি।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের করাতিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
আহতরা হলেন, জান্নাত আরা (১৯) ও তার বোন রহিমা বেগম (৩০), ভাই আবদুর রহিম (২৭) এবং ভাগ্নি নাফিসা আক্তার (৩)।
স্থানীয়রা জানান, চররমনী মোহন ইউনিয়নের নুরু বেপারীর ছেলে হোটেল শ্রমিক রিয়াদ হোসেনের সঙ্গে চার মাস আগে বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের বাঁঙ্গাখা গ্রামের চৌধুরী মিয়ার মেয়ে জান্নাত আরার পালিয়ে বিয়ে হয়। এ ঘটনায় জান্নাতের পরিবার সদর থানায় জিডি করেন। পরে সামাজিকতা চিন্তা করে পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জান্নাতকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই তার স্বামী রিয়াদ বিভিন্নভাবে যৌতুক দাবি করে আসছিল। বাধ্য হয়ে পরিবারের কাছ থেকে দুই দফা ২০ হাজার টাকা এনে দেয় জান্নাত। তারপরেও রিয়াদ যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিল।
হামলার ঘটনার বিবরণে আহতরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে রিয়াদের ছোট বোনের বিয়ের দাওয়াতে জান্নাত, তার ভাই, বোন ও ভাগ্নিকে নিয়ে চররমনী মোহনের করাতির হাটে যান। অনুষ্ঠানে তারা স্বর্ণের আংটি নিয়ে না গেলে জান্নাতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতেই জান্নাতকে তার শ্বশুর নুরু বেপারী মারধর শুরু করেন। এতে বাধা দিলে জান্নাতের ভাই আব্দুর রহিম, বোন রহিমা বেগম ও ভাগনি শিশু নাফিসাকেও মারধর করা হয়।
আবদুর রহিম বলেন, আংটি না নেওয়ায় আমাদের মারধর করা হয়েছে। পরে ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামরুল সরকার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মোমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এফআর