ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বরূপে ছুটির দিনের বইমেলা, ‘শিশুপ্রহরে’ ক্ষুদে বইপ্রেমীদের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
স্বরূপে ছুটির দিনের বইমেলা, ‘শিশুপ্রহরে’ ক্ষুদে বইপ্রেমীদের ভিড়

ঢাকা: শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছিল অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে রমনা কালীমন্দির, মৎস্য ভবন থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট- সর্বত্রই ছিল বইপ্রেমীদের বিশাল জটলা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে মেলায় প্রবেশে বিরক্তি ছিল না বইপ্রেমীদের।

শনিবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির বিপরীতে রমনা কালীমন্দির গেট, টিএসসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট গেটসহ সবগুলো প্রবেশপথেই ছিল বইপ্রেমীদের বাঁধভাঙা স্রোত। উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনার সেই ঢেউ আঁছড়ে পড়েছিল স্টল ও প্যাভিলিয়নের সামনে।

এদিনের মেলায় প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন বিকিকিনিতে। বিকাল থেকে দম ফেলার ফুরসত নেই যেন প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীদের। কয়েকদিনের ভাটা দেখে প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা প্রত্যাশা করেছিলেন শুক্র ও শনিবার বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের ঢল নামবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় বইপ্রেমী ও দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা জোয়ারে প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে।

স্টল ও প্যাভিলিয়নে বইপ্রেমীদের জটলা ও বইয়ের বিকিকিনিতে অমর একুশে বইমেলা চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে। এমন মেলা প্রতিদিন হোক- সেরকম প্রত্যাশা প্রায় সব প্রকাশকের। তারুণ্যের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে এবারের বইমেলাকে সফলতার পথে একধাপ এগিয়ে নিয়েছে।

বিকেলে কথা হয় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যর ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজলের সঙ্গে। তিনি জানান, ঐতিহ্য এবার ২০৩টি নতুন বই মেলায় এনেছে। সবগুলো বই সুপাঠ্য হওয়ায় তাদের প্যাভিলিয়নের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট।

প্রকাশনা সংস্থার অবসর-এর ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, মেলায় যেভাবে জনস্রোত নেমেছে বিক্রিও সেরকম হয়েছে। প্রকৃত বইপ্রেমীরা মেলাকে সফলতার পথে এগিয়ে রেখেছেন।

কথা প্রকাশের ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী বলেন, আজকের মেলার চিত্র দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল। কয়েকদিন ধরে যে প্রত্যাশা করেছিলাম সেই প্রত্যাশার পরিস্ফুরণ ঘটেছে। এরকম বিকিকিনি ও লোকে লোকারণ্য মেলা যদি প্রতিদিন হতো তাহলে লেখক, পাঠক, প্রকাশক সবাই মানসিকভাবে তৃপ্তি পেতেন। ছুটির দিনের এ ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে সেটাই চাই।

অমর একুশে বইমেলার আজ ছিল ১১তম দিন। ছুটির দিন হওয়ায় আজ ছিল শিশুপ্রহর। সকাল ১১টায় মেলার প্রবেশপথ খুলে দেওয়া হয়। সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের জন্য শিশুপ্রহরের আয়োজন রেখেছে মেলা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার মেলা শুরুর পরপরই অভিভাবকদের সঙ্গে আসতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শিশু-কিশোররা। এদিন দুপুরের পর থেকে শিশুচত্বরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা ছিলেন ব্যস্ত। শিশুরা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে বই কিনছে। নতুন নতুন বইয়ের পাতা উল্টে দেখছে। সিসিমপুরের সামনে ক্ষুদে বইপ্রেমীদের ভিড় বেশি দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এইচএমএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।