নোয়াখালী: নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিএনপির দযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশী বাধা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলার চাটখিল উপজেলার সাহাপুর, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, পরকোর্ট ইউনিয়ন, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ, সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়ন এবং সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল (৬০), সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বাবুল (৬০), জামাল হোসেন (৫০), হারুন মোল্লা (৬৫), সাইদুল হাসান (৩৫), যুবদল নেতা রুবেল হোসেন (২৮), ছাত্রদল নেতা সাব্বির হোসেন, একরাম সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চাটখিল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহাজান রানা অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজারে, হাটকুপুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের বিনাতলা এলাকায় ও পরকোর্ট ইউনিয়নের দশঘরিয়া বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করে।
সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মো. সেলিম শাহী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সোনাপুর ইউনিয়নের খেলাফত বাজারে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু করলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় তাদের হামলায় সাহাপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ফিরোজসহ তিনজন আহত হয়। পরে ক্ষমতাসীন দলের কয়েজন নেতা যুবদল নেতা ফিরোজের বাবার দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কানকির হাট বাজারে বেলা ১১টার দিকে সরকার দলের লেলিয়ে দাওয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করার চেষ্টা চালায়।
জেলা বিএনপির সদস্য ও কবিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর একরাম উদ্দিন বলেন, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নে মজিদেরহাট বাজারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়। এতে তাদের ৪জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এসব অভিযোগের জবাবে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা উসকানিমূলক কার্যক্রম করতে চাইলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এসএএইচ