সাভার (ঢাকা): ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- সামনে একের পর এক আসছে এই তিন উৎসব। এই তিন দিনের আয়োজন উপলক্ষে গোলাপের চাহিদা বাড়ছে ফুলের দোকানগুলোতেও।
এদিকে সাভারের গোলাপগ্রাম তথা বিরুলিয়ায় এখন দিগন্তজোড়া বাগানগুলো ভরে গেছে লাল টকটকে গোলাপ ফুলে।
আর চলতি মৌসুমের এসব দিবস ও উৎসবকে ঘিরে বিরুলিয়ার প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির হবে বলে আশাবাদী উপজেলা কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বিরুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫শ' কৃষক ৩০০ হেক্টর জমিতে সারা বছর জুড়েই বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ হয়। আর বিরুলিয়া ইউনিয়নে বিদেশী ফুল জারবেরা, মাম, জিপসি, গ্লাডিওলাসের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি চাষ হয়ে আসছে গোলাপের। সাভারের গোলাপগ্রামে প্রায় ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা রয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিরুলিয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, শ্যামপুর, বাগ্নিবাড়ি, মৈস্তাপাড়া, সাদুল্লাহপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাগান গুলোতে শোভা পাচ্ছে লাল গোলাপ। ফলনও হয়ে বেশ ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হওয়ায় বাড়তি লাভের আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত ফুলচাষিরা।
শ্যামপুর এলাকার ফুলচাষি মিনহাজ বলেন, দুই বিঘা জমিতে বাগান করেছি। প্রত্যেক বিঘা থেকে প্রতিদিন আমি ৫০০-৬০০ গোলাপ তুলতে পারি। এবার বাগানে ফলন খুব ভালো হয়েছে। ফুলের বাজারদর এবার বেশ ভালো। বর্তমানে ১০-১৫ টাকা পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে বাগান থেকে। সামনে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি আছে। আশাকরি ২-৩ লাখ টাকার ফুল আমি বিক্রি করতে পারব।
সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার নাজিয়াত আহমেদ বলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতেই শুধুমাত্র বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ চাষ হয়ে থাকে। এবছর বিরুলিয়ায় গোলাপের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। অন্যান্য বছর ৭-৮ মাসের মৌসুমে ১০-১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর আমরা প্রায় ২০ কোটি টাকা ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এসএফ/এসএএইচ