ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৯ ফেব্রুয়ারি কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
১৯ ফেব্রুয়ারি কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুই দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা ও রাজধানীর পূর্বাংশের বসুন্ধরা, রামপুরা, মাদানি অ্যাভিনিউ যানজট মুক্ত থাকবে।

ফ্লাইওভারটির মাধ্যমে যোগাযোগ আগের চেয়ে বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯ ফেব্রুয়ারি কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সময় দিয়েছেন। উদ্বোধনের পর সেটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কালশী এসে একটি জনসভা করবেন ও ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। মিরপুরে এরইমধ্যে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। কালশী ফ্লাইওভার যুক্ত হলে ওই এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। মিরপুরের মানুষের জন্য একটা আশীর্বাদ।

মেয়র বলেন, মিরপুরের মানুষের একটা দাবি ছিল কালশী ফ্লাইওভার। বিমানবন্দর সড়ক থেকে মিরপুর এলাকায় ঢোকার একটা প্রবেশপথ কালশী সড়ক। তবে ওই এলাকায় সব সময় যানজট লেগে থাকত। যানজটের ভয়ে ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে মিরপুর যেতে হতো। ফ্লাইওভারের নির্মাণ হওয়ায় আর তা করতে হবে না। ফ্লাইওভার এলাকায় দুটি ফুটব্রিজ করা হয়েছে, তাতে থাকবে চলন্ত সিঁড়ি। সাইকেলের জন্য আলাদা লেন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি। প্রকল্পের আওতায় ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। কালশী মোড়ে হয়েছে ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। চার লেনের ফ্লাইওভারে র‌্যাম্প তিনটি।

ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএসমুখী মূল ফ্লাইওভারটি চার লেনের। কালশী মোড় থেকে কালশী সড়কের দিকে নেমেছে দুই লেনের একটি র‌্যাম্প। মিরপুর ডিওএইচএস প্রান্ত ও ইসিবি চত্বরের দিকের প্রান্ত থেকে ফ্লাইওভারে ওঠা যাবে। কালশী রোড প্রান্ত দিয়ে নামার সুযোগ রয়েছে, ওঠা যাবে না।

প্রকল্পের আওতায় দুটি ফুটব্রিজ নির্মাণ, একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, একটি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, দুটি পুলিশ বক্স, ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন নির্মাণ, ১ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার পাইপ ড্রেন নির্মাণ, সাইকেলের জন্য আলাদা লেন ও ছয়টি বাস বে এবং যাত্রী ছাউনি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।