রাজবাড়ী: প্রতি বছরের মতো এবারও ভারতের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২২তম পবিত্র ওরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২৪টি বগিতে ২ হাজার ১৫২ যাত্রী নিয়ে স্পেশাল ট্রেন ভারতের মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেন’টি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন বাংলানিউজকে বলেন, ১২২তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরিফ উপলক্ষে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে ২৪টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ১২৪৫ জন পুরুষ, ৮৩২ জন নারী, ৭৫ জন শিশুসহ মোট ২১৫২ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে। পবিত্র ওরশ শরিফ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি রাজবাড়ীতে আবার ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশ উভয় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। ওরশ শরিফ খানকায়ে কাদেরীয়া বড় মসজিদ রাজবাড়ীতেও অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবাড়ীর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৪টি বগির একটি বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ করা হয়েছে। ওরশ শেষে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ী ফিরে আসবে ট্রেনটি।
রাজবাড়ী রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি সোমনাথ বসু বাংলানিউজকে জানান, স্পেশাল ট্রেন উপলক্ষে পোশাক ও সাদা পোশাকে ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদিন রেলের ইয়ার্ডে পুলিশ মোতায়েন ছিল। রাজবাড়ী রেলস্টেশনের ১, ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পুলিশ সদস্যরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এমজেএফ