কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে দুর্বৃত্তদের পৃথক গুলির ঘটনায় এক নারী নিহত এবং হেডমাঝিসহ (রোহিঙ্গা নেতা) দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লক এবং ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে গুলির ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত রোহিঙ্গা নারীর নাম নূর কায়েস (২৭)। তিনি বালুখালী ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা মো. নজুম উদ্দিনের স্ত্রী।
আহতরা হলেন- উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের বাসিন্দা করিম উল্লাহর ছেলে ও ১২ নম্বর ক্যাম্পের হেডমাঝি মো. আব্দুর রহিম (৩৮) এবং বালুখালী ৮-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা আরাফাত হোসেন।
ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় নূর কায়েস নিজের বসতঘরে অবস্থান করছিলেন। এসময় আকস্মিক একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে দুজন আহত হন। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর কায়েসকে মৃত ঘোষণা করেন।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ অপর রোহিঙ্গা আরাফাত হোসেন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ওসি।
এদিকে একইদিন (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুখোশধারী একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে মো. আব্দুর রহিম নামে রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা আহত হয়েছেন বলে জানান শেখ মোহাম্মদ আলী।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে নিজের বসতঘরের অদূরে অবস্থান করছিলেন মো. আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা। এ সময় ৪/৫ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত আব্দুর রহিমের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পাঠিয়ে দেন বলে জানান ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসবি/এনএস