ঢাকা: জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, আর্থিক তহবিল সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)। আগামী মাসেই রোহিঙ্গাদের সহায়তা ১৭ শতাংশ কমবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
সম্ভাব্য নতুন এ সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের দুজন বিশেষজ্ঞ। তাদের একজন মাইকেল ফাখরি জাতিসংঘের খাদ্য অধিকার বিষয়ক স্পেশাল রিপোর্টার। অন্যজন মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোর্টার টম অ্যান্ড্রুজ।
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে সাড়ে ১২ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন। ডাব্লিউএফপি ওই তহবিলের জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ মাইকেল ফাখরি ও টম অ্যান্ড্রুজ যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যের রেশন কমানো এড়াতে অবিলম্বে তহবিলের জন্য আবেদন করেছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা কমানো হলে বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কেও তারা সতর্ক করেছেন।
বিশেষজ্ঞ দুজন বলেন, রেশন কমানোর পরিকল্পনা আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের উদ্যোগের জন্য অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার বিধ্বংসী পরিণতি। রোজার ঠিক আগে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন কমানো হবে। এটা অযৌক্তিক। তারা বলেন, এ কমানোর প্রতিক্রিয়া হবে তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘস্থায়ী। কারণ রোহিঙ্গরা তাদের পুষ্টির প্রয়োজনের জন্য এ সহায়তার ওপর প্রায় সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রোহিঙ্গা শিবিরে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, কিশোরী এবং গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েরাসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের ওপর খাবার কমার বড় প্রভাব পড়বে।
মাইকেল ফাখরি ও টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জেনোসাইড থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা এখন তাদের খাদ্যের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার শিকার হতে যাচ্ছে। খাদ্য সহায়তা কমে যাওয়া শরণার্থীদের আরও মরিয়া করে তুলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি, ১৭ ২০২৩,
টিআর/জেএইচ