কক্সবাজার: কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার সী আলিফ হোটেলের কক্ষ থেকে কন্যা শিশুসহ নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক স্বামী জেমিন বিশ্বাসকে চট্টগ্রাম শহর থেকে আটক করা হয়েছে। শিশু মারা যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বাকলিয়া থানার পুলিশ আটকের পর এ রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানান বাকলিয়া থানার ওসি আবদুর রহিম।
তিনি জানান, কক্সবাজারের ঘটনার পর অভিযুক্তকে আটক করতে নিকটবর্তী থানায় খবর পাঠায় পুলিশ। ওই খবরের প্রেক্ষিতে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন জেমিন।
আটক জেমিন বিশ্বাসের দেওয়া তথ্য মতে ওসি আবদুর রহিম জানান, তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী অসুস্থবোধ করলে তিনি বড় ও মেঝো মেয়েকে নিয়ে নাস্তা করতে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর হোটেল কক্ষে গিয়ে দেখতে পান বাথরুমে পানির বালতিতে ছোট মেয়ে পড়ে আছে। তাকে বালতি থেকে তুলে খাটে এনে দেখেন মেয়ে মারা গেছে। এতে রেগে গিয়ে প্রথমে থাপ্পড় মারলে স্ত্রী পড়ে যান। এরপর গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যা করেন।
জেমিন জানিয়েছে, তার বড় মেয়ে নবম শ্রেণীতে এবং মেঝো মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। ২ মেয়েকে বাঁশখালী গ্রামের বাড়িতে রেখে জেমিন চট্টগ্রাম আসলে পুলিশের হাতে আটক হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটক জেমিনকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আনা হচ্ছে। পৌঁছানোর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এদিকে নিহত সুমা দে ও শিশু কন্যার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো স্বজন কক্সবাজার এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এরআগে, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় কলাতলীর সী আলিফ নামের আবাসিক হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে হোটেল কক্ষে মিলল মা-মেয়ের মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসবি/এসআইএ