সিলেট: পাঁচদিন ধরে বড়ভাই আব্দুর রহমানের দেখা না পেয়ে তার ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করলেন ছোটভাই ইমাম উদ্দিন। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন তিনি।
খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা এসে ঘরের তালা ভেঙে দেখেন জিহ্ববা দাঁত দিয়া চেপে বিছানায় পড়ে আছে আব্দুর রহমানের (৩৫) মরদেহ। তার মুখ থেকে রক্ত ঝরছে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট নগরের গোয়াবাড়ি করেরপাড়ার রশিদ মোল্লার রিকশাগ্যারেজ সংলগ্ন টিনসেড ঘর থেকে আব্দুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ।
নিহত আব্দুর রহমান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রামের মৃত সুনিল রায়ের ছেলে। ছোট ভাইসহ সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ তিনি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে আব্দুর রহমানের নাম ছিল সুবল রায়। ইমাম উদ্দিনের নাম ছিল উজ্জ্বল রায়। সিলেটে রিকশা চালাতেন আব্দুর রহমান।
সিলেটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ রায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার দুপুরে গ্যারেজের মালিকসহ অন্যান্য লোকজন আব্দুর রহমানকে ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া পায়নি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যারেজ মালিকের ফোন থেকে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান ইমাম। খবর পেয়ে তালা ভেঙে কক্ষে ঢুকে আব্দুর রহমানের মরদেহ মাটিতে পড়া অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ।
তিনি জানান, জালালাবাদ থানার এসআই পীযুষ কান্তি দাস মরদেহেরর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, আব্দুর রহমান ভাড়ায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গোয়াবাড়ি এলাকার রশিদ মোল্লার গ্যারেজের একপাশের একটি টিনসেড কক্ষে মাসিক ভাড়ায় তিনি একাই বসবাস করতেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের ন্যায় রিকশা চালানো শেষে রাতে যেকোনো সময় কক্ষে ওই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর আর তাকে বের হতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এনইউ/এসএএইচ