নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও তালিকা যাচাইবাছাইয়ে দেরির কারণে খাদ্য কর্মসূচির ৩১৫ মেট্রিক টন চাল ফেরত গেছে। ফলে এ কর্মসূচি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৭৫ জন সুবিধাভোগী।
জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ২২ হাজার হত-দরিদ্র পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ৯ ইউপি চেয়ারম্যানকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা প্রদান করে। এ পর্যন্ত শুধু ১ ইউপি চেয়ারম্যান এ তালিকা প্রদান করতে সক্ষম হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বাকি তালিকা এখন পর্যন্ত যাচাইবাছাই করা হয়নি। ফলে সুবিধাভোগীরা তাদের প্রাপ্য চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন বলেন, আমি আমার ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির জন্য তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তার ইউনিয়নের অসহায় দরিদ্ররা চাল পাচ্ছেন না।
কিশোরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেন, নানা ঝামেলার কারণে তার ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ তালিকা জমা দিতে পারেনি। তালিকার তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে তালিকা জমা দিয়ে দেবেন।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার রেজাউল আলম স্বপন বলেন, তার আওতায় চারশো সুবিধাভোগী রয়েছে। ৩৫০ জনের চাল উত্তোলন করলেও বাকিদের তালিকা তৈরিতে সমস্যা থাকায় তাদের চাল পায়নি। এতে শ্রমিক ও গাড়ি ভাড়া বাবদ খরচ বাড়ায় তার লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানরা সময় মতো সুবিধাভোগীর তালিকা নির্বাচন করতে না পারায় গত ৪ মাসে বরাদ্দের ৩১৪ মেট্রিক টন চাল ফেরত গেছে। ফলে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলাররা। অপরদিকে সুবিধাভোগীরা সরকারি চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, চেয়ারম্যানরা তালিকা দিতে না পারায় সুবিধাভোগীদের চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। খুব দ্রুত তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
জেএইচ