ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সারাদেশে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
সারাদেশে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করছে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

ঢাকা: গবাদিপশুর জাত উন্নয়নে সরকার সারাদেশে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

তিনি বলেন, আধুনিক কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণের লক্ষে বগুড়ায় বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনি ল্যাব স্থাপন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি সবার মাঝে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে উন্নত জাতের গবাদিপশু উৎপাদন বাড়বে। এর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভার্চ্যুয়ালি বগুড়ার শেরপুরে স্থাপিত বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনি ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনি ল্যাব স্থাপন করা হয়।

মৎস্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ, আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে চলেছেন। যার সূচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ১২৭টি হলস্টাইন ফ্রিজিয়ান ষাঁড় আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের গবাদিপশুর উন্নয়নে কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি প্রবর্তনের সূচনা করেছিলেন। যা বহুমাত্রিকতা পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

মন্ত্রী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিত করা সরকারের লক্ষ্য। এ জন্যই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ নতুনভাবে ২টি পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম প্রজনন ল্যাব কাম বুল স্টেশন এবং ৫টি বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনি ল্যাব এবং গবাদিপশুর সুষম খাদ্য নিশ্চিতে একটি টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) খাদ্য কারখানা স্থাপন করা হয়েছে।  

বুল কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম ল্যাবগুলোতে সরকারি দুগ্ধ খামারগুলোতে জন্ম নেয়া সম্ভাবনাময় ষাঁড় বাছুর লালন-পালন করে প্রজনন ষাঁড় তৈরি করা হচ্ছে। প্রজনন ষাঁড় থেকে সিমেন সংগ্রহ করে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের জন্য সারাদেশে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী   

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ও স্থানীয় উদ্যোক্তারা সবাই মিলে সহযোগিতা করায় প্রাণিসম্পদে বাংলাদেশ আজ একটি সাফল্যের জায়গায় পৌঁছেছে। এক সময় ভারত-মিয়ানমার থেকে কোরবানির পশু আনার জন্য বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হতো। আজ আমাদের উৎপাদিত পশু কোরবানির চাহিদা মেটানোর পরও উদ্বৃত্ত হচ্ছে।  

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। তিনি বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছেন, আধুনিক করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়্যালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, শেরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহ জামাল সিরাজী প্রমুখ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।